স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে হাজীগঞ্জে গাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে উপজেলার কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঝড়ে অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনের খুটি, গাছপালা, টিনের ঘর ভেঙ্গে পড়ে বিভিন্নস্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ২৪ ঘন্টার মতো হাজীগঞ্জে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী আন্তঃনগর ট্রেন মেঘনা ঝড়ের কবলে পড়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাকিলায় আটকা পড়ে।
হাজীগঞ্জে সোমবার সকাল থেকে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দুপরে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া সন্ধ্যা সাড়ে টার দিকে সিত্রাং আঘাত হানে। এ সময় বৃষ্টির সাথে বাতাস ছিলো প্রবল। প্রায় দেড় ঘণ্টা চলমান সিত্রাংয়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়ে লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
মঙ্গলবার রাতে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে বলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উপজেলার কৃষি জমির মাঠগুলোতে কৃষকের আগাম লাগানো শীতের ফসলি জমিতে পানি জমে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন মেঘনা হাজীগঞ্জের বাকিলা এলাকায় এসে ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় রেলপথের উপর বেশ কিছু গাছ পড়লে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় ট্রেনের যাত্রী ও স্থানীয়দের সহায়তায় রেলপথ থেকে গাছ সরিয়ে দিলে প্রায় দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ঝড়ে হাজীগঞ্জের ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলের টিনের চালা উড়ে যায়। এ ছাড়াও গাছ পড়ে স্কুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল, মকিমাবাদ এলাকায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়ন, ৯নং গন্ধর্ব্যপুর, ১০নং গন্ধর্ব্যপুর বেলঘর এলাকায় অনেক স্থানে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান জানান, ঘূণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হাজীগঞ্জের কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কিছু গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। এতে বিদ্যুতের লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা লাইন সঞ্চালন করতে কাজ করছে।