• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ পোস্ট মাস্টার হলেন হাজীগঞ্জের খোরশেদ আলম ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে বিয়ে করবেন মডেল প্রিয়াঙ্কা হাজীগঞ্জে নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব হাজীগঞ্জের মনিনাগে সম্পতিগত বিরোধের জেরধরে হামলা, ৮জন আহত ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ মতলব উত্তরে ১০ম গ্রেডের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ শাহরাস্তিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে রবি শস্য বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ ॥ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা

পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২

মহিউদ্দিন আল আজাদ॥
হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত-৩ (ওয়ার্ড নং-৭, ৮ ও ৯) এর নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার কর্তৃক অপ-প্রচার করার প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর পরিষদ।

পৌর পরিষদের পক্ষে মঙ্গলবার বিকালে পৌরসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর বিকালে ওই সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার তার ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্ট ও মঙ্গলবার দুপুরে লাইভ বক্তব্যের মাধ্যমে পৌর মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এছাড়াও ওই পোস্ট ও লাইভে তিনি ও তার স্বামীকে হুমকি প্রদান করায় তারা নিরাপত্তাহীনায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করেন মিনু আক্তার।

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারের এসব অভিযোগের লিখিতভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্যানেল মেয়র-১ ও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার (আলম বেপারী)।

তিনি বলেন, মিনু আক্তার তার ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক আইডির মাধ্যমে পৌর মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তব্য প্রদান করেন। যা অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত এবং জনপ্রতিনিধি হিসাবে শৃঙ্খলা পরিপন্থী। একটি মহল হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে পৌরসভা ও মেয়রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য তাকে ইন্ধন যোগাচ্ছে। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রকৃত ঘটনার সূত্রপাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে আমান উল্যাহ্ মৃধাসহ ৫ জন ব্যক্তি বাদী গত ৩১ জুলাই পৌরসভায় একটি অভিযোগ (নং-১৯৫/২০২২) দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ২নং বিবাদী হলেন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারের পিতা আনোয়ার হোসেন ছিডা। পরবর্তীতে অভিযোগটি নিরসনকল্পে ৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেন ও ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মো. কবির হোসেনকে দায়িত্ব প্রদান করেন পৌর মেয়র।

দায়িত্ব পেয়ে কাউন্সিলরগণ অভিযোগের বাদী ও বিবাদীকে পরপর ৩টি লিখিত নোটিশ জারী করেন। উক্ত নোটিশে প্রেক্ষিতে বাদী পক্ষ উপস্থিত থাকলেও বিবাদী পক্ষ অনুউপস্থিত থাকেন। এতে বিবাদীপক্ষ অনুপস্থিত থাকার কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরগণ বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি মর্মে মেয়রের কাছে একটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২নং বিবাদী আনোয়ার হোসেন ছিডার মেয়ে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার উপরোক্ত ঘটনার সূত্রপাত ঘটায়। সবশেষ গত ৩১ তারিখে পৌর পরিষদের মাসিক সাধারন সভায় মিনু আক্তার উপস্থিত হলেও উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে সে হাজিরা শীটে স্বাক্ষর না করে চলে যায় বলে মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার।

এসময় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আরো বলেন, মিনু আক্তারের যদি কোন অভিযোগ থাকে, তাহলে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ড ঘটিয়েছেন। যার উদ্বেগ প্রকাশ করছি আমরা এবং এসব ঘটনার ইন্ধনকারীদের শাস্তি দাবীসহ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

একই সময়ে প্যানেল মেয়র- ৩ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর-১ রোকেয়া বেগম জানান, আমরা চারজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রয়েছি। পৌর মেয়র আমাদেরকে সন্তানের মতো দেখছেন। তিনি সকল বিষয়ে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে সমন্বয় করে আমাদেরকে সকল দায়িত্ব প্রদান করতেন। অথচ মিনু আক্তার উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে কু-রুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করছেন। যার কারণে আমরা অন্য তিন নারী কাউন্সিলর লজ্জিত।

৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাসীন ফারুক বাদল জানান, মিথ্যা কথা ছড়ানো যায়, কিন্তু মিথ্যা কথা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। মিনু আক্তার উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে পৌর মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে যে অশোভন ও অসলগ্ন কথা-বার্তা বলছেন, পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিইও মুহাম্মদ ইনামুল হাছান, নারী কাউন্সিলররা হলেন- ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মমতাজ বেগম মুক্তা, ১০, ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডের নাজমুন নাহার আক্তার ঝুমু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার সিইও মুহাম্মদ ইনামুল হাছান এছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাইনুদ্দিন মিয়াজী, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলাউদ্দিন মুন্সী, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাসীন ফারুক বাদল, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমন তপদার, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহআলম, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মো. কবির হোসেন, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আজাদ হোসেন, ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. বিল্লাল হোসেন, ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সাদেকুজ্জামান মুন্সী ও ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহআলম। পৌর কর নির্ধারক আবু ইউসুফ প্রমূখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০