মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ১২২০ এর সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র ড্রাইভার (চালক) ওয়াদুদ হোসেন অজুদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জানাযা শেষে টোরাগড় পূর্বপাড়া হাজী রহিম উদ্দিন মসজিদের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি অজুদ ড্রাইভার নামে পরিচিত ছিলেন। এ দিন সকালে তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের মতিন কেরানী বাড়ির মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে অজুদ ড্রাইভার টোরাগড় স্বর্ণকলি কেজি স্কুলের সামনে চা দোকানের বাহিরে প্রতিবেশীদের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় তিনি হঠাৎ করে অচেতন হয়ে পড়েন। তাৎখনিক লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিন জোহরের নামাজের পর টোরাগড় স্বর্ণকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজীগঞ্জ স্বর্ণকলি হাই স্কুল মাঠে মরহুম ওয়াদুদ হোসেন অজুদের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা’র ইমামতি করেন, টোরাগড় পূর্বপাড়া হাজী রহিম উদ্দিন মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মো. বিএম মাহ্দী।
এ দিকে মরহুম অজুদ ড্রাইভারের জানাযা’য় অংশগ্রহণ করেন, বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ¦ আব্দুল খাঁন বাচ্চু, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আবুল বাসার, পৌর ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেন ও ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী কবির হোসেন কাজী।
এছাড়াও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম.এ রহিম পাটওয়ারী, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ নাফের শাহ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান রানা, পৌর যুবদলের আহবায়ক মিজানুর রহমান সেলিমসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জনপ্রতিনিধি ও রাজনেতিক দলের নেতৃবৃন্দ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।