ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর-৫ আসনে সৈয়দ বাহাদুর শাহসহ জামানত হারালেন ৪ প্রার্থী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৫৪ Time View

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) সংসদীয় আসনে ১৫৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৪ জন প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত হারিয়েছেন। আর নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কোনো প্রার্থী যদি মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ৪ জন প্রার্থীর কাছ থেকে ইসির নির্ধারিত জামানতের ২০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়ল।

ওই চারজন প্রার্থী হলেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ‘চেয়ার’ প্রতীকের প্রার্থী ও দলের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) ‘ফুলের মালা’ প্রতীকের প্রার্থী ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্তিক দল জাসদের (হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার) ‘মশাল’ প্রতীকের প্রার্থী মো. মনির হোসেন মজুমদার ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ‘ছড়ি’ প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন।

নির্বাচনে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার ১৫৩টি কেন্দ্রে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬১ ভোটের মধ্যে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯১ ভোট কাস্ট হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৬১৫ ভোট বৈধ ও ৩ হাজার ৮৭৬ ভোট বাতিল হয়। কাস্ট ভোটের মধ্যে আট ভাগের এক ভাগ ১২ হাজার ৫১৯.২৮ ভোটের বেশি পেয়েছেন ৩ জন এবং কম ভোট পেয়েছেন ৪ জন প্রার্থী। তাই ওই চারজন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচনী ফলাফলে নৌকা প্রতীকে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম ৮৩ হাজার ২২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচন হন। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ৪৪ হাজার ৫৯১ ভোট বেশি পেয়ে ৫ম বারের মতো সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে গাজী মাঈনুদ্দিন ৩৮ হাজার ৬৩৬ ভোট ও ট্রাক প্রতীকে মোহাম্মদ সফিকুল আলম ফিরোজ ২২ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়েছেন।

চেয়ার প্রতীকে আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ৭ হাজার ১৪৪ ভোট, ফুলের মালা প্রতীকে বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী ৫৫৬ ভোট, মশাল প্রতীকে মো. মনির হোসেন মজুমদার ৩৮০ ভোট ও ছড়ি প্রতীকে আক্তার হোসেন ১৩৭ ভোট পেয়েছেন। উল্লেখিত প্রার্থীরা কাস্ট ভোটের মধ্যে আট ভাগের এক ভাগ অর্থ্যাৎ ১২ হাজার ৫১৯.২৮ ভোটের কম পাওয়ায় তাদের জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে রোববার রাতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই নির্বাচনের ফলাফলের শিট বিজয়ী প্রার্থী অথবা তার প্রতিনিধির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় ইসির নির্ধারিত ২০ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়া পৌরসভার কোয়া নূর ই মদিনা জামে মসজিদের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

চাঁদপুর-৫ আসনে সৈয়দ বাহাদুর শাহসহ জামানত হারালেন ৪ প্রার্থী

Update Time : ০৪:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) সংসদীয় আসনে ১৫৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৪ জন প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত হারিয়েছেন। আর নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কোনো প্রার্থী যদি মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ৪ জন প্রার্থীর কাছ থেকে ইসির নির্ধারিত জামানতের ২০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়ল।

ওই চারজন প্রার্থী হলেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ‘চেয়ার’ প্রতীকের প্রার্থী ও দলের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) ‘ফুলের মালা’ প্রতীকের প্রার্থী ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্তিক দল জাসদের (হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার) ‘মশাল’ প্রতীকের প্রার্থী মো. মনির হোসেন মজুমদার ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ‘ছড়ি’ প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন।

নির্বাচনে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার ১৫৩টি কেন্দ্রে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬১ ভোটের মধ্যে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯১ ভোট কাস্ট হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৬১৫ ভোট বৈধ ও ৩ হাজার ৮৭৬ ভোট বাতিল হয়। কাস্ট ভোটের মধ্যে আট ভাগের এক ভাগ ১২ হাজার ৫১৯.২৮ ভোটের বেশি পেয়েছেন ৩ জন এবং কম ভোট পেয়েছেন ৪ জন প্রার্থী। তাই ওই চারজন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচনী ফলাফলে নৌকা প্রতীকে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম ৮৩ হাজার ২২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচন হন। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ৪৪ হাজার ৫৯১ ভোট বেশি পেয়ে ৫ম বারের মতো সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে গাজী মাঈনুদ্দিন ৩৮ হাজার ৬৩৬ ভোট ও ট্রাক প্রতীকে মোহাম্মদ সফিকুল আলম ফিরোজ ২২ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়েছেন।

চেয়ার প্রতীকে আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ৭ হাজার ১৪৪ ভোট, ফুলের মালা প্রতীকে বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী ৫৫৬ ভোট, মশাল প্রতীকে মো. মনির হোসেন মজুমদার ৩৮০ ভোট ও ছড়ি প্রতীকে আক্তার হোসেন ১৩৭ ভোট পেয়েছেন। উল্লেখিত প্রার্থীরা কাস্ট ভোটের মধ্যে আট ভাগের এক ভাগ অর্থ্যাৎ ১২ হাজার ৫১৯.২৮ ভোটের কম পাওয়ায় তাদের জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে রোববার রাতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই নির্বাচনের ফলাফলের শিট বিজয়ী প্রার্থী অথবা তার প্রতিনিধির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় ইসির নির্ধারিত ২০ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়েছিল।