ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৈয়ারা দাখিল মাদ্রাসার বেহাল দশা, ৪৮ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

শাহরাস্তির দৈয়ারা দারুছ ছুন্নাত মবিনিয়া নেছারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার বেহাল দশা

শাহরাস্তির দৈয়ারা দারুছ ছুন্নাত মবিনিয়া ,নেছারিয়া, ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার বেহাল দশা, উন্নয়নের ছৌঁয়া থেকে বঞ্চিত, বারবার আবেদন করেও ব্যর্থ ।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু নোমান মোহাম্মদ আব্দুর রহমান জানান, ১৯৭৭ সালে কতিপয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ ও জনসাধারণের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে অধ্যাবধি অত্র প্রতিষ্ঠানটি সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলী ও পরিচলনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে মাদ্রাসায় প্রায় ৪০০ জন ছাত্র/ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। মাদ্রাসাটির বিগত বছরগুলোর দাখিল কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক । তিনি বলেন সরকার কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক দেশ জুড়ে চলমান আছে।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত।

এ প্রতিষ্ঠানটিতে সাতটি কাঁচা টিনসেড ঘর রয়েছে। জরাঝীর্ণ যা পাঠদানের উপযুক্ত নয়। ঝড় বৃষ্টির সময় অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীদের বই খাতা বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায়। টিনশেড এর ঘর হওয়ায়, প্রখর রোদ্র ও গরমের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের, শ্রেণি কক্ষে অবস্থান করা খুবই কষ্টকর। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট মাদ্রাসাটির জন্য একটি নতুন বহুতল ভবনের দাবি করছেন মাদ্রাসা সুপার ও এলাকাবাসী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলব সরকারি কলেজের ৮ শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীর বিদায় সংবর্ধনা

দৈয়ারা দাখিল মাদ্রাসার বেহাল দশা, ৪৮ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

Update Time : ১১:৩১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

শাহরাস্তির দৈয়ারা দারুছ ছুন্নাত মবিনিয়া ,নেছারিয়া, ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার বেহাল দশা, উন্নয়নের ছৌঁয়া থেকে বঞ্চিত, বারবার আবেদন করেও ব্যর্থ ।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু নোমান মোহাম্মদ আব্দুর রহমান জানান, ১৯৭৭ সালে কতিপয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ ও জনসাধারণের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে অধ্যাবধি অত্র প্রতিষ্ঠানটি সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলী ও পরিচলনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে মাদ্রাসায় প্রায় ৪০০ জন ছাত্র/ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। মাদ্রাসাটির বিগত বছরগুলোর দাখিল কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক । তিনি বলেন সরকার কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক দেশ জুড়ে চলমান আছে।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত।

এ প্রতিষ্ঠানটিতে সাতটি কাঁচা টিনসেড ঘর রয়েছে। জরাঝীর্ণ যা পাঠদানের উপযুক্ত নয়। ঝড় বৃষ্টির সময় অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীদের বই খাতা বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায়। টিনশেড এর ঘর হওয়ায়, প্রখর রোদ্র ও গরমের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের, শ্রেণি কক্ষে অবস্থান করা খুবই কষ্টকর। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট মাদ্রাসাটির জন্য একটি নতুন বহুতল ভবনের দাবি করছেন মাদ্রাসা সুপার ও এলাকাবাসী।