গাজীপুরের জামায়াতের ইফতার মাহফিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে বেদম প্রহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কালীগঞ্জ উপজেলার বাহদুশাদী ইউনিয়নের ৫-৬ নং ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
আহতদের মধ্যে জামায়াতের দুই কর্মী আসলাম (২৬) এবং ছেলে হাফিজ উদ্দিনকে (৩৫) গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন জামায়াত নেতা সুমন মিয়া বলেন, জামায়াতের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ইফতারের আগ মুহূর্তে স্থানীয় বিএনপির কর্মী আপেল, নুর ইসলাম ও আকরামসহ ১০-১৫ জন এসে ইফতার মাহফিল করা যাবে না বলে বাধা দেন। এরপর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা ইফতারের খাবার ফেলে দেন। পরে জামায়াতের কর্মীরা অন্য স্থানে ইফতার ও নামাজ শেষে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বিএনপি কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১০ জন আহত হন।
উপজেলা আমির মো. মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, ইফতারটি একটি বাড়িতে হওয়ার কথা ছিল। তাদের বাধার মুখে মাঠে ইফতার করার সময় একটি রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত আপেল, নুর ইসলাম, সৌরভ ও নজরুলসহ ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইফতার মাহফিলে হামলা করে এবং বেধড়ক লাঠিপেটা করে। হামলায় ১০ জন আহত হন। এছাড়াও আমাদের ৬নং ওয়ার্ডের জামায়াত কর্মী রাজু নিখোঁজ রয়েছে। তারা কোথাও তাকে আটকে রেখেছে। অবিলম্বে তাকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই।
ঘটনার ব্যাপারে বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মীরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ৭-৮ জন আহত হয়েছেন।
গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খায়রুল হাসান কালবেলাকে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের প্রায় ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় গাজীপুর পাঠানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, রাত ৯টার দিকে জামায়াতের পাঁচ কর্মীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুজনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, মারামারির ঘটনায় জামায়াত নেতা মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।