শনিবার (১৭ জুন) বিকাল ৩ ঘটিকার সময় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দুই গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে গোলাগুলি হয় বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ হয় তিনজন। পরে এদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে মোবারক হোসেন বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিকে গুরুতর আহত ইমরান বেপারী ও জহির কবিরাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহত মোবারক হোসেন বাবু বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল বেপারীর ছেলে। আহত ইমরান তার ছেলে এবং জহির কবিরাজ একই গ্রামের মনু কবিরাজের ছেলে। এছাড়াও আরো অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষনিক জানা যায়নি।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সিগমা রশিদ জানান, গুরুতর আহত মোবারক হোসেনকে একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার সাথে সাথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাকী আহত দুইজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যান কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল বাহাদুরপুর আমার এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটোর দূরে এবং মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে। ওখানে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রাজ্জাক প্রধান ও কালু বেপারীর মধ্যে আভ্যন্তরীন সমস্যা ছিলো। সেটিকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা। কিন্তু মায়া চৌধুরী পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য।
এদিকে নিহত মোবারক হোসেন বাবুকে হাসপাতালে দেখতে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, হামলাকারী কাজী মিজান গ্রুপ আওয়ামী লীগের কেউ না। তারা রাজাকার পরিবার। এ ঘটানার সুষ্ঠু বিচার হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এণ্ড অপস্) সুদীপ্ত রায় বলেন, ঘটনাস্থলে মাত্র এসেছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে। তবে এই ঘটনায় মুসা নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।