ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া কাবিননামা তৈরী, কাজী ও তার সহযোগী কারাগারে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • ৪৬ Time View
চাঁদপুরের কচুয়ায় মুনতাসীর শাকিল নামে ব্যাক্তির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা তৈরী করায় উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কাজী ও তার সহযোগী মামলার হাজিরা দিতে আসলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই আদেশ দেন। কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ কচুয়া উপজেলার বরইগাঁও গ্রামের মৃত মাওলানা আবদুর রব এর ছেলে। মামলার বাদী হলেন কচুয়া উপজেলার আইনগীরী নাউলা গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মুনতাসীর শাকিল।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, ২০২৩ সালের ৩০ মে মুনতাসীর শাকিল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাউলা গ্রামের আবদুল হাকিমের মেয়ে লাহিনূর আক্তার লুনা (৩৬) কাদলা ইউনিয়নের কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ এর যোগাসাজসে মুনতাসীর শাকিলের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া জাল কাবিননামা তৈরী করে। যে কারণে শাকিল মামলা করেন।

মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে পাঠায়। মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব পান পিবিআই উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফ উল্লাহ। তিনি মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই মামলার হাজিরা দিতে আসলে আসামী কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী, অ্যাড. শেখ আবদুল লতিফ ও অ্যাড. মো. হেলাল উদ্দিন। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়া পৌরসভার কোয়া নূর ই মদিনা জামে মসজিদের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

কচুয়ায় স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া কাবিননামা তৈরী, কাজী ও তার সহযোগী কারাগারে

Update Time : ১১:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
চাঁদপুরের কচুয়ায় মুনতাসীর শাকিল নামে ব্যাক্তির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা তৈরী করায় উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কাজী ও তার সহযোগী মামলার হাজিরা দিতে আসলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই আদেশ দেন। কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ কচুয়া উপজেলার বরইগাঁও গ্রামের মৃত মাওলানা আবদুর রব এর ছেলে। মামলার বাদী হলেন কচুয়া উপজেলার আইনগীরী নাউলা গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মুনতাসীর শাকিল।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, ২০২৩ সালের ৩০ মে মুনতাসীর শাকিল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাউলা গ্রামের আবদুল হাকিমের মেয়ে লাহিনূর আক্তার লুনা (৩৬) কাদলা ইউনিয়নের কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ এর যোগাসাজসে মুনতাসীর শাকিলের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া জাল কাবিননামা তৈরী করে। যে কারণে শাকিল মামলা করেন।

মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে পাঠায়। মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব পান পিবিআই উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফ উল্লাহ। তিনি মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই মামলার হাজিরা দিতে আসলে আসামী কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী, অ্যাড. শেখ আবদুল লতিফ ও অ্যাড. মো. হেলাল উদ্দিন। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ।