বাংলাদেশের অর্থনীতি একেবারে ভয়াবহ পর্যায়ে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে তাঁর ভাষ্য, এটা (অর্থনীতি) খাদের কিনারায় চলে গেছে। যেকোনো সময় পড়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এ নিয়ে তাঁরা কথা বলতে চান না। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় নিজের পায়ের ওপর ভর করেই সব গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে এনেছে, ভবিষ্যতেও তা করবে।
ব্রিফিংয়ের আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাকে সঙ্গে নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হকের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের জন্য কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যায় এবং কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, এ ছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণসহ আমরা প্রাথমিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে, নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে, দেশে একটা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের ৬৩টি রাজনৈতিক দল এর বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করছে। কিন্তু সরকার দমননীতির চরম পর্যায়ে গিয়ে একটা ‘ডামি’ নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করে বেআইনিভাবে বসে গেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলগুলো দীর্ঘ সময় সংগ্রাম করছে। নতুন করে আন্দোলন ও কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য তাঁরা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করছেন।
পরে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র এবং আইন আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে দমনপীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নির্মূল করে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করার জন্য সরকারের যে অপচেষ্টা, সে বিষয়ে তাঁরা সতর্ক আছেন। বর্তমান শাসনের অবসান ঘটিয়ে নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে না তোলা পর্যন্ত বিরোধী দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলন চলবে।