চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান বলেছেন, বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের কারণ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও প্রতিযোগিতার মানসিকতা তৈরী করা। শুধুমাত্র পরীক্ষার্থী না হয়ে ভালো শিক্ষার্থী হওয়া প্রয়োজন। ভালো শিক্ষার্থী হতে পারলে নিশ্চিত পরীক্ষা ভালো হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়বে এবং কর্মজীবনে গিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মিলনায়তনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সম্মৃদ্ধি’ এ প্রতিপাদ্যে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং ৮ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা যেটা পড়বে মনোযোগ দিয়ে পড়বে। কোন বিষয়ই ছোট নয়। তবে বিজ্ঞানের থেকে মজার কোন বিষয় নেই। সুশিক্ষায় মানুষ সবার হতে হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কামরুল হাসান বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা হচ্ছে। সেখানে শিক্ষকদের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে এসেছেন তাদের ঘাটতি কোথায় তা আপনারা কিছু সময় অবস্থান করলে বুঝতে পারবেন। এতে করে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞানের শূন্যতা কোথায় তা সমাধান করা সহজ হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমি নিজে কিংবা আমাদের পুলিশ সুপার আমরা কেউ দায় এড়াতে পারিনা। এ জেলোর কোন শিক্ষার্তী ক্ষতিগ্রস্ত হউক তা আমাদের কাম্য নয়। টাকার জন্য কোন শিক্ষার্থী পড়তে পারছেন, পরীক্ষার ফি দিতে পারছে না এমনটি হতে পারবে না। এমন শিক্ষার্থী থাকলে তার সব দায়িত্ব আমরা নিব।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ, জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এমআর ইসলাম বাবু। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় উদ্ভাবন ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় চাঁদপুর সরকারি কলেজসহ জেলা সদরের কলেজ ও স্কুলের বহু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
পরে আয়োজিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উদ্ভাবন উপস্থাপন করা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।