ঢাকা 2:38 am, Thursday, 11 September 2025

হাজীগঞ্জ থানা ও ক্ষতিগ্রস্ত পৌরসভা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:14:35 pm, Saturday, 10 August 2024
  • 22 Time View

ছবি-ত্রিনদী

সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসযোগ আন্দোলনকে ঘিরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হাজীগঞ্জ পৌরসভা পরিদর্শন করেছেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এসময় টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) সহ প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা চালু এবং সহিংসতায় প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতিগ্রস্ত বিভাগ পুনসংস্কার ও চালু না করা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে সেবার নির্দেশনা দেন জেলাপ্রশাসক।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয় পরিদর্শন শেষে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এসময় পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতির ছবি ও ভিডিও ধারণসহ তালিকা নিরূপনের কথাও উল্লেখ করেন। পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, সেনা কর্মকর্তা মেজর মো. মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হাজীগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এসময় হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু কুমার দত্ত মিঠু, হাজীগঞ্জ পৌরসভার সচিব মুহাম্মদ নূর আজম শরীফ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও পয়নিস্কাশন) মো. মাহবুবর রশিদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ৪ আগস্ট (রোববার) বিকালে পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর, তিনটি গাড়ি ও চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন ৫ আগস্ট (সোমবার) সকালে আবারও পৌরসভা কার্যালয়ের একাধিক কক্ষসহ দুইটি গাড়িতে আগুন এবং বেশ কয়েকটি গাড়িসহ অন্যান্য মালামাল এবং জিসিনপত্র ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এছাড়াও পৌরসভার একাধিক কম্পিউটার ও ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামালও নিয়ে যায়। এতে পৌরসভার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি পৌরসভার নাগরিক সেবার অন্যতম বিভাগ পৌর ডিজিটাল সেন্টার, বিদ্যুত, পানি ও পয়নিস্কাশন এবং প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগের প্রয়োজনী কাগজপত্র, জেনারেটর ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পৌরসভার সেবা কার্যক্রম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলবে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য আটক 

হাজীগঞ্জ থানা ও ক্ষতিগ্রস্ত পৌরসভা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার

Update Time : 09:14:35 pm, Saturday, 10 August 2024

সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসযোগ আন্দোলনকে ঘিরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হাজীগঞ্জ পৌরসভা পরিদর্শন করেছেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এসময় টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) সহ প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা চালু এবং সহিংসতায় প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতিগ্রস্ত বিভাগ পুনসংস্কার ও চালু না করা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে সেবার নির্দেশনা দেন জেলাপ্রশাসক।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয় পরিদর্শন শেষে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এসময় পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতির ছবি ও ভিডিও ধারণসহ তালিকা নিরূপনের কথাও উল্লেখ করেন। পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, সেনা কর্মকর্তা মেজর মো. মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হাজীগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এসময় হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু কুমার দত্ত মিঠু, হাজীগঞ্জ পৌরসভার সচিব মুহাম্মদ নূর আজম শরীফ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও পয়নিস্কাশন) মো. মাহবুবর রশিদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ৪ আগস্ট (রোববার) বিকালে পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর, তিনটি গাড়ি ও চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন ৫ আগস্ট (সোমবার) সকালে আবারও পৌরসভা কার্যালয়ের একাধিক কক্ষসহ দুইটি গাড়িতে আগুন এবং বেশ কয়েকটি গাড়িসহ অন্যান্য মালামাল এবং জিসিনপত্র ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এছাড়াও পৌরসভার একাধিক কম্পিউটার ও ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামালও নিয়ে যায়। এতে পৌরসভার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি পৌরসভার নাগরিক সেবার অন্যতম বিভাগ পৌর ডিজিটাল সেন্টার, বিদ্যুত, পানি ও পয়নিস্কাশন এবং প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগের প্রয়োজনী কাগজপত্র, জেনারেটর ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পৌরসভার সেবা কার্যক্রম।