আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর), বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আজ শেষ হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব। গতকাল রাতে একটি এবং আজকে সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিমা গুলো দিনের আলোতেই বিসর্জনের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়। হাজীগঞ্জ বাজার কেন্দ্রিক পাঁচটি পূজা মন্ডপ বিকাল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যেই বিসর্জনের হবে কি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রুহি দাস বনিক। এছাড়াও হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং হাজীগঞ্জ পৌর সভর প্রশাসক তাপস শীল বলেন আমরা ইতিমধ্যেই হাজীগঞ্জ পৌরসভার বাজারকেন্দ্রীক পাঁচটি পূজা মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নির্ধারণ ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
দেবী দুর্গাকে বিদায় দিয়ে এই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো একটি বছর। শাস্ত্রীয়ভাবে দুর্গাপূজা শনিবার শেষ হয়েছে। তবে প্রতিমা বিসর্জন, সিঁদুর খেলাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ হচ্ছে আজ। শনিবার দুর্গোৎসবের মহাদশমী তিথিতে বিহিত পূজা এবং দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে বিসর্জনের ক্ষণ এগিয়ে আসায় ছিল বিদায়ের সুরও। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যালোকে আসেন দেবী দুর্গা। তার এই আগমন ও প্রস্থানের মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। মহালয়ার মধ্যদিয়ে গত ২ অক্টোবর এবারকার দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছিল। ওই দিন থেকেই পূজার আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। এরপর গত বুধবার ষষ্ঠী থেকে পাঁচ দিনের যে দুর্গোৎসব শুরু হয়েছিল, রবিবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ আয়োজনের। বৃহস্পতিবার নবপত্রিকায় প্রবেশ ও স্থাপনে হয় মহাসপ্তমী। পরদিন শুক্রবার সকালে কুমারী পূজার পাশাপাশি মহাঅষ্টমীর বিহিত পূজা এবং সন্ধিপূজা হয়। এদিকে, বিসর্জন উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্ৰহণ করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি। দশমীর শোভাযাত্রা ও বিসর্জন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা নিয়ে হাজীগঞ্জ পৌর মহাশ্মশানে ত্রিশূল সংঘের সভাপতি রবি রায় চৌধুরী বলেন, এবারকার পূজাতে আশঙ্কের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছি। তবে কোনো সমস্যা হয়নি। ভালোভাবে পূজা উদযাপন করতে পেরেছেন।