ঢাকা 9:04 am, Monday, 1 September 2025

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দেশের প্রশ্নে সব রাজনৈদিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে-আসিফ নজরুল

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:04:11 pm, Wednesday, 4 December 2024
  • 120 Time View

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। ছবি-সংগৃহিত।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

তিনি বলেছেন, আজ বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা ছিল। তবে সবাই দেশের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান নিয়ে আজ বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আসিফ নজরুল।

বৈঠকে ভারতে বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতা, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ ইত্যাদির তীব্র নিন্দা জানানো হয় বলে উল্লেখ করেন আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, বৈঠকে এসবের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ ও সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে এবং সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালীভাবে সরকারকে বিষয়গুলো ‘অ্যাড্রেস’ করার কথা বলা হয়েছে। এ জন্য প্রবাসী বন্ধু ও অন্য বন্ধুরাষ্ট্রের সহযোগিতা নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোকে ডেকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের যোগাযোগ দক্ষতা ও আইনি দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শও এসেছে।

আসিফ নজরুল বলেন, বৈঠকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের হওয়া চুক্তিগুলো প্রকাশ করা এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের যে অর্থনৈতিক নিপীড়ন, সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদের যে চেষ্টা, অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপের যে চেষ্টা, সেটির নিন্দা জানান বৈঠকে উপস্থিত রাজনীতিবিদেরা। পাশাপাশি তাঁরা ভারতকে মর্যাদাশীল এবং সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আসিফ নজরুল জানান, ভারত বাংলাদেশবিরোধী যে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে, সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি যেকোনো উসকানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সবাই বলেছেন, আমাদের আর শক্তিহীন, দুর্বল ও নতজানু ভাবার কোনো অবকাশ নেই। যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব, সাহসী থাকব।’

বৈঠকে সবাই মিলে একটি সমাবেশ করা, সবাই মিলে একটি ‘পলিটিক্যাল’ কাউন্সিল করা, নিরাপত্তা কাউন্সিল করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘সভার মূল সুর ছিল, আমাদের মধ্যে মত, পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, অবস্থানে ভিন্নতা থাকতে পারে; কিন্তু দেশ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাই এক। সবার ওপরে দেশ। রাজনৈতিক সমাবেশের মাধ্যমে এই বার্তা জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ চার সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের বৈঠকে ছিলেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে আরও অংশ নেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির শহীদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফয়জুল হক লালা, জাতীয় জোটের এহসানুল হুদা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের (একাংশ) নুরুল আমিন ব্যাপারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আবদুল বাসিত আজাদ ও জাহাঙ্গীর হোসেন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের আবদুর রব ইউসুফী ও মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মুফতি ফখরুল ইসলাম, গণ অধিকার পরিষদের (ফারুক) সদস্যসচিব ফারুক হাসান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের ববি হাজ্জাজ, জাগপার (একাংশ) রাশেদ প্রধান, এনডিপির আবু তাহের প্রমুখ।

আরও কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগের কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। গতকাল সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক হয়। আজ হয়েছে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক। আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টা বসবেন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

ভিপি নূর ও দলীয় নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনায় হাজীগঞ্জে দোয়া ও মিলাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দেশের প্রশ্নে সব রাজনৈদিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে-আসিফ নজরুল

Update Time : 09:04:11 pm, Wednesday, 4 December 2024

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

তিনি বলেছেন, আজ বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা ছিল। তবে সবাই দেশের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান নিয়ে আজ বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আসিফ নজরুল।

বৈঠকে ভারতে বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতা, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ ইত্যাদির তীব্র নিন্দা জানানো হয় বলে উল্লেখ করেন আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, বৈঠকে এসবের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ ও সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে এবং সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালীভাবে সরকারকে বিষয়গুলো ‘অ্যাড্রেস’ করার কথা বলা হয়েছে। এ জন্য প্রবাসী বন্ধু ও অন্য বন্ধুরাষ্ট্রের সহযোগিতা নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোকে ডেকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের যোগাযোগ দক্ষতা ও আইনি দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শও এসেছে।

আসিফ নজরুল বলেন, বৈঠকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের হওয়া চুক্তিগুলো প্রকাশ করা এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের যে অর্থনৈতিক নিপীড়ন, সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদের যে চেষ্টা, অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপের যে চেষ্টা, সেটির নিন্দা জানান বৈঠকে উপস্থিত রাজনীতিবিদেরা। পাশাপাশি তাঁরা ভারতকে মর্যাদাশীল এবং সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আসিফ নজরুল জানান, ভারত বাংলাদেশবিরোধী যে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে, সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি যেকোনো উসকানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সবাই বলেছেন, আমাদের আর শক্তিহীন, দুর্বল ও নতজানু ভাবার কোনো অবকাশ নেই। যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব, সাহসী থাকব।’

বৈঠকে সবাই মিলে একটি সমাবেশ করা, সবাই মিলে একটি ‘পলিটিক্যাল’ কাউন্সিল করা, নিরাপত্তা কাউন্সিল করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘সভার মূল সুর ছিল, আমাদের মধ্যে মত, পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, অবস্থানে ভিন্নতা থাকতে পারে; কিন্তু দেশ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাই এক। সবার ওপরে দেশ। রাজনৈতিক সমাবেশের মাধ্যমে এই বার্তা জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ চার সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের বৈঠকে ছিলেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে আরও অংশ নেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির শহীদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ জাসদের শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফয়জুল হক লালা, জাতীয় জোটের এহসানুল হুদা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের (একাংশ) নুরুল আমিন ব্যাপারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আবদুল বাসিত আজাদ ও জাহাঙ্গীর হোসেন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের আবদুর রব ইউসুফী ও মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মুফতি ফখরুল ইসলাম, গণ অধিকার পরিষদের (ফারুক) সদস্যসচিব ফারুক হাসান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের ববি হাজ্জাজ, জাগপার (একাংশ) রাশেদ প্রধান, এনডিপির আবু তাহের প্রমুখ।

আরও কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগের কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। গতকাল সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক হয়। আজ হয়েছে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক। আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টা বসবেন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে।