হাজীগঞ্জে মাসব্যাপী তারুণ্যের উৎসব উদযাপন- ২০২৫ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪) ডিসেম্বর সকালে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে এ তারুণ্যের উৎসব বাস্তবায়নে দিক-নির্দেশনা দেন। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ ফেরদৌস আহম্মদের উপস্থাপনায় উপজেলা সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও যুব সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভলিবল, সাঁতার, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, কাবাডি ও বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা, যুব সমাবেশ, পরিস্কার পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন খেলার মাঠ, মশক নিধন ও জলাশয় পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, পলিথিন বর্জন করে পাটজাত পন্যের ব্যবহার বৃদ্ধিকল্পে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও যুব উদ্যোক্তাদের পন্য প্রদর্শনীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও প্লাস্টিক প্রণ্যের বিকল্প ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালা, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী যুবদের মধ্যে থেকে ডেক্রোক্রেসি অ্যাওয়ার্ড প্রদান, কিশোরী-কিশোরীদের পুষ্টি বিষযক সচেতনতা কার্যক্রম ও নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড আয়োজন, তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন, পিঠা উৎসব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক ফটোরিলিজ, তারুণ্যের উৎসব সম্পর্কিত আলোচনা ও অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ বেশ কিছু কর্মসূচী বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় মতামত উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ চৌধুরী, বন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লায়লা আঞ্জুম ভানু, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল গণি, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সুনির্মল দেউরী, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান মাহমুদ, উপজেলা স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন টিটু প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার উত্তাল আন্দোলন আর দেড় হাজারেরও বেশি অকুতোভয় মুক্তিকামী মানুষের রক্তের বিনিময়ে পরাজিত ও ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে ফ্যাসিবাদী সরকার। ছাত্র-জনতার সেই সফল আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে দেশের তরুণ সমাজ। সেই তরুণদের লড়াই-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ও পরিকল্পনায় তারুণ্যের উৎসবের পরিকল্পনা নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিপিএল দিয়ে শুরু হবে সেই ‘তারুন্যের উৎসব ২০২৫। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয় (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ ১২টির বেশি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় প্রায় দুই মাস ধরে চলবে তরুণদের উৎসব।