ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদ-পন্থিদের নিষিদ্ধের দাবীতে চাঁদপুরে বিক্ষোভ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৮৫ Time View

টঙ্গী ইজতেমার মাঠে মুসল্লিদের ওপর হামলা, হত্যার বিচার, কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা মাঠ ওলামায়ে কেরামদের হাতে ছেড়ে দেওয়া এবং সাদ-পন্থিদেন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুরে ওলামায়ে কেরাম ও শুরায়ী নেজামের অধীনে তাবলীগ সাথীদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর বুধবার সকালে চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার ঐতিহাসিক জামে মসজিদের সামনের এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সাদ-পন্থিদেন নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে চাঁদপুরে‌র ওলামায়ে কেরাম ও শুরায়ী নেজামের সাথীগণ ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ শেষে শত শত আলেম-ওলামা, সুরায়ী নেজামে সাথীদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পুরানবাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষীণ করে নতুনবাজার-পুরানবাজার ব্রীজের গোড়ায় গিয়ে শেষ হয়।।

জাফরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম খাজা আহমদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ৫ দফা দাবির ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, ষোলঘর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা লিয়াকত হোসাইন।

ঘোষিত ৫ দফার মধ্যে রয়েছে, (১) সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের বর্বর নৃশংস হামলা ও মসজিদে মসজিদে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করার লক্ষ্যে চাঁদপুর-সহ সারা দেশে তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। (২) ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টঙ্গী মাঠে হামলার সাথে জড়িত চাঁদপুর-সহ সারাদেশের সকল সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। (৩) ঢাকার কাকরাইল মারকায ও টঙ্গী ইজতেমা মাঠ সম্পূর্ণরূপে শুরায়ী নেযামের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার মাধ্যমে সুষ্ঠভাবে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ আঞ্জাম দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। (৪) পুরানবাজার জামে মসজিদে সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে এর দায়ভার প্রশাসনকেই বহন করতে হবে। (৫) চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মাদরাসা থেকে সাদপন্থীদের লিডার আবদুর রশীদ ও মৌলভী আব্দুল্লাহকে আগামী এক ‘সপ্তাহের মধ্যে অপসারণ করতে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মাওলানা মুফতি নুর আলম ও মুফতি শহীদুল্লাহর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বড় স্টেশন মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি সিরাজুল ইসলাম, বেগম মসজিদের খতিব মুফতি মাহবুবুর রহমান, জাফরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মুফতি তোহা খান, মহামায়া মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা মোহাম্মাদ উল্লাহ, দারুন ফজল মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ আবুল হাসান, জাফরাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোঃ জুবায়ের, মাওলানা আলআমিন, মমিনপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রঘুনাথপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আশরাফ আলী, মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা এমদাদ, তাবলীগের সিনিয়র মুরুব্বী মোঃ হুমায়ুন, নিশি বিল্ডিং হাওলাদার জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার মোতামিন মুফতি আশেক এলাহী, বকুলতলা মসজিদের খতিব মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, ভূইয়া মার্কেট মসজিদের ইমাম হাফেজ ক্বারী রশিদ আহমেদ।

বক্তারা বলেন, দাওয়াতি কাজের সাথে অস্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক কিংবা লাঠিসোঁটার কোন সম্পর্ক নেই। অথচ সেদিন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে রাতের আঁধারে সাদ-পন্থিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিরীহ মুসলমানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এই সন্ত্রাসীরা কখনো সত্যিকারের মুসলিম হতে পারে না।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সাদপন্থীদের যদি সঠিক বিচার না করা হয় তাহলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। এই সাদপন্থীদের তাবলীগ জামায়াতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ২০১৮ সালে তারা ইজতেমা মাঠে জঙ্গীদের মতো শোডাউন করেছে। তারা বর্তমানে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদীদের মদদে অশান্তি সৃষ্টি করতে কাজ করছে।
আগামী সোমবার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিগি প্রদান করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

নিরাপত্তা চেয়ে এক মাস আগে জিডি করেছিলো এনসিপি নেত্রী রুমী

সাদ-পন্থিদের নিষিদ্ধের দাবীতে চাঁদপুরে বিক্ষোভ

Update Time : ০৬:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টঙ্গী ইজতেমার মাঠে মুসল্লিদের ওপর হামলা, হত্যার বিচার, কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা মাঠ ওলামায়ে কেরামদের হাতে ছেড়ে দেওয়া এবং সাদ-পন্থিদেন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুরে ওলামায়ে কেরাম ও শুরায়ী নেজামের অধীনে তাবলীগ সাথীদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর বুধবার সকালে চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার ঐতিহাসিক জামে মসজিদের সামনের এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সাদ-পন্থিদেন নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে চাঁদপুরে‌র ওলামায়ে কেরাম ও শুরায়ী নেজামের সাথীগণ ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ শেষে শত শত আলেম-ওলামা, সুরায়ী নেজামে সাথীদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পুরানবাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষীণ করে নতুনবাজার-পুরানবাজার ব্রীজের গোড়ায় গিয়ে শেষ হয়।।

জাফরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম খাজা আহমদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ৫ দফা দাবির ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, ষোলঘর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা লিয়াকত হোসাইন।

ঘোষিত ৫ দফার মধ্যে রয়েছে, (১) সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের বর্বর নৃশংস হামলা ও মসজিদে মসজিদে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করার লক্ষ্যে চাঁদপুর-সহ সারা দেশে তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। (২) ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টঙ্গী মাঠে হামলার সাথে জড়িত চাঁদপুর-সহ সারাদেশের সকল সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। (৩) ঢাকার কাকরাইল মারকায ও টঙ্গী ইজতেমা মাঠ সম্পূর্ণরূপে শুরায়ী নেযামের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার মাধ্যমে সুষ্ঠভাবে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ আঞ্জাম দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে। (৪) পুরানবাজার জামে মসজিদে সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে এর দায়ভার প্রশাসনকেই বহন করতে হবে। (৫) চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মাদরাসা থেকে সাদপন্থীদের লিডার আবদুর রশীদ ও মৌলভী আব্দুল্লাহকে আগামী এক ‘সপ্তাহের মধ্যে অপসারণ করতে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মাওলানা মুফতি নুর আলম ও মুফতি শহীদুল্লাহর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বড় স্টেশন মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি সিরাজুল ইসলাম, বেগম মসজিদের খতিব মুফতি মাহবুবুর রহমান, জাফরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মুফতি তোহা খান, মহামায়া মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা মোহাম্মাদ উল্লাহ, দারুন ফজল মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ আবুল হাসান, জাফরাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোঃ জুবায়ের, মাওলানা আলআমিন, মমিনপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রঘুনাথপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আশরাফ আলী, মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা এমদাদ, তাবলীগের সিনিয়র মুরুব্বী মোঃ হুমায়ুন, নিশি বিল্ডিং হাওলাদার জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার মোতামিন মুফতি আশেক এলাহী, বকুলতলা মসজিদের খতিব মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, ভূইয়া মার্কেট মসজিদের ইমাম হাফেজ ক্বারী রশিদ আহমেদ।

বক্তারা বলেন, দাওয়াতি কাজের সাথে অস্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক কিংবা লাঠিসোঁটার কোন সম্পর্ক নেই। অথচ সেদিন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে রাতের আঁধারে সাদ-পন্থিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিরীহ মুসলমানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এই সন্ত্রাসীরা কখনো সত্যিকারের মুসলিম হতে পারে না।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সাদপন্থীদের যদি সঠিক বিচার না করা হয় তাহলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। এই সাদপন্থীদের তাবলীগ জামায়াতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ২০১৮ সালে তারা ইজতেমা মাঠে জঙ্গীদের মতো শোডাউন করেছে। তারা বর্তমানে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদীদের মদদে অশান্তি সৃষ্টি করতে কাজ করছে।
আগামী সোমবার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিগি প্রদান করা হবে।