ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অশ্লিল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবি, অপহরণকারী নারী সদস্য গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৬৩ Time View
চাঁদপুরে শামছুল হক গাজী নামের এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ করে অশ্লিল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ায় ফারজানা আক্তার সাথী (৩০) নামের অপহরণকারী নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
 বিকেলে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের একটি বাসা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোঃমিজানুর রহমান গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে নিয়ে আসেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
ফারজানা আক্তার সাথী শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মৃত. সুমন জমাদারের স্ত্রী। গত ৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শামিম সরকারকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৪ জন নারী পুরুষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৫। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোঃ মিজানুর রহমান।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা থেকে চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ডায়াবেটিস হাসপিটালে আসেন ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজী। পরে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে জরুরি কাজে বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় উঠেন। এসময় অজ্ঞাতনামা দুই জন মহিলাও তার সাথে উঠেন। পরে অজ্ঞাতনামা দুই মহিলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভুক্তভোগীকে নামতে দেয় নি, জোরপূর্বক অটোরিক্সা থেকে নামিয়ে তার শার্টের কলারে ধরে টেনেহেঁচড়ে শহরের মাদ্রাসা রোডের জান্নাত মহলের ৬ তলার শামিমের বাসায় নিয়ে যায়। পরে আসামীরা ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে তাদের ব্যবহ্নত মোবাইল দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। সামাজিক মাধ্যমে  ছড়িয়ে দিবে বলে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে তারা। মানসন্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী তার ভাইয়ের কাছে ১ লক্ষ টাকা পাঠাতে বলে। পরে বিষয়টি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রকিব কে অবগত করলে তাৎক্ষণিক জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মাদ্রাসা রোডের জান্নাত মহলে অভিযান পরিচালনা করে ভুক্তভোগী কে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোঃমিজানুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামী ফ্লাটের মালিক শামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগী আসামী রুবি আক্তার কে ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।  বিকেলে ফারজানা আক্তার সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

শাহারাস্তিতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

অশ্লিল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবি, অপহরণকারী নারী সদস্য গ্রেপ্তার

Update Time : ১০:২৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
চাঁদপুরে শামছুল হক গাজী নামের এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ করে অশ্লিল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ায় ফারজানা আক্তার সাথী (৩০) নামের অপহরণকারী নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
 বিকেলে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের একটি বাসা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোঃমিজানুর রহমান গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে নিয়ে আসেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
ফারজানা আক্তার সাথী শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মৃত. সুমন জমাদারের স্ত্রী। গত ৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শামিম সরকারকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৪ জন নারী পুরুষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৫। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোঃ মিজানুর রহমান।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা থেকে চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ডায়াবেটিস হাসপিটালে আসেন ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজী। পরে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে জরুরি কাজে বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় উঠেন। এসময় অজ্ঞাতনামা দুই জন মহিলাও তার সাথে উঠেন। পরে অজ্ঞাতনামা দুই মহিলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভুক্তভোগীকে নামতে দেয় নি, জোরপূর্বক অটোরিক্সা থেকে নামিয়ে তার শার্টের কলারে ধরে টেনেহেঁচড়ে শহরের মাদ্রাসা রোডের জান্নাত মহলের ৬ তলার শামিমের বাসায় নিয়ে যায়। পরে আসামীরা ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে তাদের ব্যবহ্নত মোবাইল দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। সামাজিক মাধ্যমে  ছড়িয়ে দিবে বলে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে তারা। মানসন্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী তার ভাইয়ের কাছে ১ লক্ষ টাকা পাঠাতে বলে। পরে বিষয়টি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রকিব কে অবগত করলে তাৎক্ষণিক জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মাদ্রাসা রোডের জান্নাত মহলে অভিযান পরিচালনা করে ভুক্তভোগী কে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোঃমিজানুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামী ফ্লাটের মালিক শামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগী আসামী রুবি আক্তার কে ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।  বিকেলে ফারজানা আক্তার সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।