ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার দাবি জামায়াতের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬৫ Time View

মিয়া গোলাম পরওয়ার

বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ দাবি জানান । রোববার এক বিবৃতিতে দলটি এ দাবী জানান।

বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অব্যাহতভাবে বেড়ে চলছে। জনগণের জন্য অপরিহার্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষের সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে জনগণের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আরোপিত শুল্কের কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ আরও এক দফা বাড়বে। কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। কিন্তু সরকার বিষয়টির ওপর নজর রাখেনি। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর যেন বাড়তি চাপ তৈরি না হয়, সে জন্য অবিলম্বে শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের মাঝে হঠাৎ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার; যা ওই রাতেই কার্যকর হয়ে গেছে। অংশীজনদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিসংক্রান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাব পাস হয়। তারপর ভোক্তা পর্যায় থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সংগঠন ও অর্থনীতিবিদেরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করেন। একপর্যায়ে ৪ জানুয়ারি এনবিআর এক বিবৃতিতে দাবি করে, যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই। এতে সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না; মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।

যেসব পণ্য ও সেবায় কর ও শুল্ক বাড়াবে, তার মধ্যে রয়েছে মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে। আবার ব্র্যান্ড কিংবা ব্র্যান্ড নয় এমন পোশাকে ভ্যাটের হার দ্বিগুণ করা হয়েছে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) রেস্তোরাঁয় খাওয়ার খরচও বাড়বে; কারণ, সেখানে ভ্যাট তিন গুণ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে ওষুধ, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, আমদানি করা ফল ও ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, বিভিন্ন ধরনের টিস্যু, সিগারেটসহ নানা পণ্যের। এসব পণ্যভেদে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। আবগারি শুল্ক বাড়ানোয় আকাশপথে ভ্রমণে খরচও বাড়বে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়া পৌরসভার কোয়া নূর ই মদিনা জামে মসজিদের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার দাবি জামায়াতের

Update Time : ০৮:০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ দাবি জানান । রোববার এক বিবৃতিতে দলটি এ দাবী জানান।

বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অব্যাহতভাবে বেড়ে চলছে। জনগণের জন্য অপরিহার্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষের সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে জনগণের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আরোপিত শুল্কের কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ আরও এক দফা বাড়বে। কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। কিন্তু সরকার বিষয়টির ওপর নজর রাখেনি। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর যেন বাড়তি চাপ তৈরি না হয়, সে জন্য অবিলম্বে শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের মাঝে হঠাৎ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার; যা ওই রাতেই কার্যকর হয়ে গেছে। অংশীজনদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিসংক্রান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাব পাস হয়। তারপর ভোক্তা পর্যায় থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সংগঠন ও অর্থনীতিবিদেরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করেন। একপর্যায়ে ৪ জানুয়ারি এনবিআর এক বিবৃতিতে দাবি করে, যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই। এতে সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না; মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।

যেসব পণ্য ও সেবায় কর ও শুল্ক বাড়াবে, তার মধ্যে রয়েছে মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে। আবার ব্র্যান্ড কিংবা ব্র্যান্ড নয় এমন পোশাকে ভ্যাটের হার দ্বিগুণ করা হয়েছে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) রেস্তোরাঁয় খাওয়ার খরচও বাড়বে; কারণ, সেখানে ভ্যাট তিন গুণ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে ওষুধ, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, আমদানি করা ফল ও ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, বিভিন্ন ধরনের টিস্যু, সিগারেটসহ নানা পণ্যের। এসব পণ্যভেদে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। আবগারি শুল্ক বাড়ানোয় আকাশপথে ভ্রমণে খরচও বাড়বে।