ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের দাবিতে নারীর বাড়তে ৭৫ বছরের বৃদ্ধের অনশন

ছবি-সংগৃহিত।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের দাবিতে ৩৫ বছরের নারীর বাড়িতে ৭৫ বছর বয়সি আবুল কাসেম মুন্সি অনশন করেছেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ঠুটাখালী গ্রামে ওই নারীর বাড়িতে অনশন করেন ওই বৃদ্ধ।

আবুল কাসেম মুন্সি উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজাহার আলী মুন্সির ছেলে।

আবুল কাসেম মুন্সি বলেন, আমার স্ত্রী বেশ কিছুদিন আগে মৃত্যুবরণ করার পরে বিয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় মেয়ে দেখি। তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় দুই মাস পূর্বে ওই নারীর সঙ্গে দেখা হয় এবং বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজি হয়। সেই সুবাদে ওই নারী বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু গত কিছুদিন আগে থেকে হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই ওই নারী আমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আমি তার বাড়িতে আসতে চাইলে আমাকে ভুল ঠিকানা দেয়। একপর্যায়ে আমি প্রায় ৪-৫ দিন খোঁজ করে আজ সকালে ওই নারীর বাড়িতে আসি।

তিনি আরও বলেন, হয় আমার টাকা দেবে নয়তো আমাকে বিয়ে করবে। আমার সঙ্গে ওই নারী যে প্রতারণা করেছে আমি তার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাই।

এলাকাবাসী জানান, ওই নারী আমাদের এলাকার মেয়ে হলেও তার স্বভাব চরিত্র মোটেই ভালো না। আমাদের জানা মতে ওই নারী এ রকমের বিভিন্ন পুরুষের কাছ থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে। আমরা তার কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।

বিষয়টি টের পেয়ে সকালে ওই নারী আত্মগোপন করেন। পরে তার মোবাইল ফোন দিলে বিষয়টি অস্বীকার করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

নকল বই বিক্রিতে জড়িতের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে : গোলাম এলাহী

বিয়ের দাবিতে নারীর বাড়তে ৭৫ বছরের বৃদ্ধের অনশন

Update Time : ০৮:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের দাবিতে ৩৫ বছরের নারীর বাড়িতে ৭৫ বছর বয়সি আবুল কাসেম মুন্সি অনশন করেছেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ঠুটাখালী গ্রামে ওই নারীর বাড়িতে অনশন করেন ওই বৃদ্ধ।

আবুল কাসেম মুন্সি উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজাহার আলী মুন্সির ছেলে।

আবুল কাসেম মুন্সি বলেন, আমার স্ত্রী বেশ কিছুদিন আগে মৃত্যুবরণ করার পরে বিয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় মেয়ে দেখি। তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় দুই মাস পূর্বে ওই নারীর সঙ্গে দেখা হয় এবং বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজি হয়। সেই সুবাদে ওই নারী বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু গত কিছুদিন আগে থেকে হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই ওই নারী আমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আমি তার বাড়িতে আসতে চাইলে আমাকে ভুল ঠিকানা দেয়। একপর্যায়ে আমি প্রায় ৪-৫ দিন খোঁজ করে আজ সকালে ওই নারীর বাড়িতে আসি।

তিনি আরও বলেন, হয় আমার টাকা দেবে নয়তো আমাকে বিয়ে করবে। আমার সঙ্গে ওই নারী যে প্রতারণা করেছে আমি তার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাই।

এলাকাবাসী জানান, ওই নারী আমাদের এলাকার মেয়ে হলেও তার স্বভাব চরিত্র মোটেই ভালো না। আমাদের জানা মতে ওই নারী এ রকমের বিভিন্ন পুরুষের কাছ থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে। আমরা তার কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।

বিষয়টি টের পেয়ে সকালে ওই নারী আত্মগোপন করেন। পরে তার মোবাইল ফোন দিলে বিষয়টি অস্বীকার করেন।