ঢাকা 11:51 pm, Tuesday, 2 September 2025

চাঁদপুরে সুজিত রায় নন্দীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কলেজ শিক্ষকের মামলা

সুজিত রায় নন্দী

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, চাঁদাদাবী ও কলেজের প্রভাষক পদে চাকরীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী এবং মারধররে অভিযোগ এনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর আমলী আদালতে মামলাটি করেন ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ তদন্ত করার জন্য পুলিশের সিআইডি বিভাগকে দায়িত্ব দেন।

মামলার আসামীরা হলেন-সুজিত রায় নন্দী, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস, বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিজি, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ড. মীজানুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ বাবর বেপারী।

মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক বিষয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দীর বিপরীত মতের হওয়ার কারণে তাকে ভয়ভিতি দেখিয়ে কলেজ ত্যাগ ও তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করান। ওই মামলায় তিনি কারাভোগ করেন। পরবর্তীতে তিনি মামলা থেকে খালাশ পান। আর এই মামলা দেখিয়ে তাকে তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য প্রভাব খাটিয়ে সার্বিক ব্যবস্থার আয়োজন করেন।

বাদী বলেন, তিনি তার চাকরী ঠিক রাখার জন্য উচ্চ আদালতে রীট করেন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ামানুসারে তাকে বেতন ভাতা দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। ক্ষমতার দাফটে তখন সুজিত রায় নন্দীসহ তার সহযোগিরা এই শিক্ষকের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন।

শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ২০১৬ সালে আমি প্রভাষক হিসেবে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে যোগদান করি। এরপর থেকে সুজিত রায় নন্দীসহ তার সযোগিরা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে আমি সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। সর্বশেষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এই মামলা দায়ের করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

মেয়াদ ছাড়া রসমালাই, রং মিশিয়ে ঘি তৈরি করায় জরিমানা

চাঁদপুরে সুজিত রায় নন্দীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কলেজ শিক্ষকের মামলা

Update Time : 11:15:27 pm, Tuesday, 2 September 2025

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, চাঁদাদাবী ও কলেজের প্রভাষক পদে চাকরীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী এবং মারধররে অভিযোগ এনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর আমলী আদালতে মামলাটি করেন ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ তদন্ত করার জন্য পুলিশের সিআইডি বিভাগকে দায়িত্ব দেন।

মামলার আসামীরা হলেন-সুজিত রায় নন্দী, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস, বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিজি, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ড. মীজানুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ বাবর বেপারী।

মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক বিষয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দীর বিপরীত মতের হওয়ার কারণে তাকে ভয়ভিতি দেখিয়ে কলেজ ত্যাগ ও তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করান। ওই মামলায় তিনি কারাভোগ করেন। পরবর্তীতে তিনি মামলা থেকে খালাশ পান। আর এই মামলা দেখিয়ে তাকে তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য প্রভাব খাটিয়ে সার্বিক ব্যবস্থার আয়োজন করেন।

বাদী বলেন, তিনি তার চাকরী ঠিক রাখার জন্য উচ্চ আদালতে রীট করেন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ামানুসারে তাকে বেতন ভাতা দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। ক্ষমতার দাফটে তখন সুজিত রায় নন্দীসহ তার সহযোগিরা এই শিক্ষকের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেন।

শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ২০১৬ সালে আমি প্রভাষক হিসেবে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে যোগদান করি। এরপর থেকে সুজিত রায় নন্দীসহ তার সযোগিরা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে আমি সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। সর্বশেষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এই মামলা দায়ের করি।