ঢাকা 9:59 am, Wednesday, 15 October 2025

শাহরাস্তিতে রেলওয়ের সম্পত্তি নবায়ন করেও রেহাই পেল না  ১টি পরিবার

শাহরাস্তি মেহের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলামের রোষানলে পড়ে আতংকে দিন কাটছে এক প্রতিবন্ধী পরিবার। প্রায় ৩০ বছর ধরে ৩১ শতাংশ রেলের কৃষি সম্পত্তি লীজ নিয়ে নিয়মিত নবায়ন করছেন দেলোয়ার হোসেন ও তার প্রতিবন্ধী পরিবার।সম্প্রতি স্টেশন মাস্টারের সাথে বাক-বিতন্ডার পর সমঝোতা হলেও পূর্ব শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে মামলা করার পর এখন উচ্ছেদ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি- এমন অভিযোগ মেহের স্টেশন সংলগ্ন বসবাসকারী দেলোয়ার হোসেন গং এর।
ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন জানান, তার স্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী।  তাকে নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর এখানে বসবাস করে আসছেন। ৩১ শতাংশ কৃষি সম্পত্তি লীজ আনার পর প্রতি বছর নবায়ন করা হয়। এখনও ২০২৫ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা আছে। তারপরও হঠাৎ করে রেল কর্তৃপক্ষ দুটি নোটিশ ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ করে। এখানে ১ থেকে দেড় শতাংশে তারা ভরাট করে একটি টিনসেড ঘর করে থাকছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন কুল-কিনারাহীণ এ পরিবার।এদিকে মেহের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলামের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে রেলের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেন এই ভুক্তভোগী পরিবার। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ১৫ থেকে ১৮ বছর ধরে ঘুরেফিরে এই স্টেশনে আসছেন রফিকুল ইসলাম।  দীর্ঘ দিন এখানে চিতষী ও মেহের স্টেশনের দায়িত্ব থাকায় রেলের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের নামে বিক্রি ও লীজ বাণিজ্য,  নবায়ন বাণিজ্য করে আসছেন তিনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, সে (দেলোয়ার)  আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করেছে আপনি যদি একটার সত্যতা পান তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। আমি এসবের সাথে জড়িত না, আমি এগুলো করি না। সে কৃষি লিজ নিয়ে অবৈধ ভাবে বসতবাড়ি করেছে, এখন তার এগুলো উচ্ছেদ করতে হবে এজন্য সে ক্ষিপ্ত। উনি একটার পর একটা অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেয়, কিন্তু কোনোটার সত্যতা প্রমান করতে পারে না। কয়েকদিন আগে ওনার স্ত্রী আর বৌ আমার অফিসে এসে হামলা করেছে এবং ওসি তদন্ত করতে গেছে ওনাদের সামনে আমার গায়ে হাত তুলেছে। মুলত আমার উপর সে ক্ষিপ্ত কারণ সে কৃষি লিজ নিয়ে অবৈধ ভাবে বসতবাড়ি করেছে আমি তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এখন সব উচ্ছেদ হবে তাই এমন করছে।
টানা ১০-১৫ বছর একই স্থানে কর্মরত কিভাবে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, টানা ১০-১৫ বছর নয় মাঝখানে একাধিকবার আওয়ামী লীগের দোষররা আমাকে রাজনৈতিক কারনে বদলী করেছে। আর আমি বার বার এখানে আসার চেষ্টা করি আমার বাচ্চারা এখানে লেখা পড়া করে তাই।  কয়েকবার আমি অন্য জেলা-উপজেলায় দায়িত্ব পালন করে এসেছি। মুলত আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পন্ন মিথ্যা।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

শাহরাস্তিতে রেলওয়ের সম্পত্তি নবায়ন করেও রেহাই পেল না  ১টি পরিবার

শাহরাস্তিতে রেলওয়ের সম্পত্তি নবায়ন করেও রেহাই পেল না  ১টি পরিবার

Update Time : 09:52:11 am, Wednesday, 15 October 2025
শাহরাস্তি মেহের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলামের রোষানলে পড়ে আতংকে দিন কাটছে এক প্রতিবন্ধী পরিবার। প্রায় ৩০ বছর ধরে ৩১ শতাংশ রেলের কৃষি সম্পত্তি লীজ নিয়ে নিয়মিত নবায়ন করছেন দেলোয়ার হোসেন ও তার প্রতিবন্ধী পরিবার।সম্প্রতি স্টেশন মাস্টারের সাথে বাক-বিতন্ডার পর সমঝোতা হলেও পূর্ব শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে মামলা করার পর এখন উচ্ছেদ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি- এমন অভিযোগ মেহের স্টেশন সংলগ্ন বসবাসকারী দেলোয়ার হোসেন গং এর।
ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন জানান, তার স্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী।  তাকে নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর এখানে বসবাস করে আসছেন। ৩১ শতাংশ কৃষি সম্পত্তি লীজ আনার পর প্রতি বছর নবায়ন করা হয়। এখনও ২০২৫ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা আছে। তারপরও হঠাৎ করে রেল কর্তৃপক্ষ দুটি নোটিশ ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ করে। এখানে ১ থেকে দেড় শতাংশে তারা ভরাট করে একটি টিনসেড ঘর করে থাকছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন কুল-কিনারাহীণ এ পরিবার।এদিকে মেহের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলামের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে রেলের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেন এই ভুক্তভোগী পরিবার। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ১৫ থেকে ১৮ বছর ধরে ঘুরেফিরে এই স্টেশনে আসছেন রফিকুল ইসলাম।  দীর্ঘ দিন এখানে চিতষী ও মেহের স্টেশনের দায়িত্ব থাকায় রেলের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের নামে বিক্রি ও লীজ বাণিজ্য,  নবায়ন বাণিজ্য করে আসছেন তিনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, সে (দেলোয়ার)  আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করেছে আপনি যদি একটার সত্যতা পান তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। আমি এসবের সাথে জড়িত না, আমি এগুলো করি না। সে কৃষি লিজ নিয়ে অবৈধ ভাবে বসতবাড়ি করেছে, এখন তার এগুলো উচ্ছেদ করতে হবে এজন্য সে ক্ষিপ্ত। উনি একটার পর একটা অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেয়, কিন্তু কোনোটার সত্যতা প্রমান করতে পারে না। কয়েকদিন আগে ওনার স্ত্রী আর বৌ আমার অফিসে এসে হামলা করেছে এবং ওসি তদন্ত করতে গেছে ওনাদের সামনে আমার গায়ে হাত তুলেছে। মুলত আমার উপর সে ক্ষিপ্ত কারণ সে কৃষি লিজ নিয়ে অবৈধ ভাবে বসতবাড়ি করেছে আমি তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এখন সব উচ্ছেদ হবে তাই এমন করছে।
টানা ১০-১৫ বছর একই স্থানে কর্মরত কিভাবে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, টানা ১০-১৫ বছর নয় মাঝখানে একাধিকবার আওয়ামী লীগের দোষররা আমাকে রাজনৈতিক কারনে বদলী করেছে। আর আমি বার বার এখানে আসার চেষ্টা করি আমার বাচ্চারা এখানে লেখা পড়া করে তাই।  কয়েকবার আমি অন্য জেলা-উপজেলায় দায়িত্ব পালন করে এসেছি। মুলত আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পন্ন মিথ্যা।