শাহরাস্তি উপজেলায় এক প্রবীণ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার পথে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ অভিযুক্ত একজনের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২৭ অক্টোবর, সোমবার, ফজরের আজানের কিছুক্ষণ পূর্বে আনুমানিক পৌনে পাঁচটার দিকে শাহরাস্তি উপজেলার মেহের দক্ষিণ ইউনিয়নের মালোরা ভূঁইয়া বাড়ির মোস্তফা মিয়া (৬০)কে কে বা কাহারা মুখোশ পরা অবস্থায় আক্রমণ করে। মোস্তফা মিয়া তাঁর নিয়মিত অভ্যাস অনুযায়ী ফজরের নামাজ পড়ার জন্য সবার আগে মসজিদে যাচ্ছিলেন এবং আজান দিতেন। এদিনও আজান দেওয়ার ও ইমাম সাহেবকে জাগানোর উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে মসজিদ থেকে সাত-আট গজ পশ্চিম পাশে পুকুরের দক্ষিণ পূর্ব কোণে পিছন দিক থেকে তাঁকে আক্রমণ করা হয়।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করার পর মোস্তফা মিয়ার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসার আগেই দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফা মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
মোস্তফা মিয়া তাঁর জবানবন্দীতে মিজানুর রহমান নামে জনৈক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি আলামত হিসেবে হামলাকারীর পরা পোশাক ও ধারালো ‘দাও’ (অস্ত্র) রেখে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার সঙ্গে মিজানের দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।
এই ঘটনায় মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা (মামলা নং ১৮, তারিখ ২৭/১০/২০২৫) দায়ের করেছেন। মামলাটি জি. আর. মামলা নং১৬৭,ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/ ৩২৬/৩০৭/৫০৬/৩৪-এর অধীন রুজু করা হয়েছে।শাহরাস্তি থানার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার পিপিএম বার-এর দিক নির্দেশনায় এসআই মুনিরুজ্জামান (নিরস্ত্র) সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের স্ত্রী ফুলভানু (৪৫)কে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করেছেন।
মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া: 























