রাজধানীর পল্লবীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব ও চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ওলীপুর তালুকদার বাড়ির সন্তান গোলাম কিবরিয়া (৪৮)।
সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বর ‘সি’ ব্লকের বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় তিনজন দুর্বৃত্ত।
পুলিশ সূত্র জানায়, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দোকানের ভেতরে অবস্থানকালে মোটরসাইকেলে করে এসে দুর্বৃত্তরা তার মাথা, বুক ও পিঠে টার্গেট করে ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৭টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত গোলাম কিবরিয়া একসময়ে জাতীয় দলের ফুটবলার ছিলেন। তার বাবার নাম মৃত মোহাম্মদ আলী। তারা ৪ ভাই ও ১ বোন এর মধ্যে দুই ভাই ইউরোপে বসবাস করেন। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে পরিবারের সবাই ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে মিরপুরে জানাজা শেষে সেখানেই দাফন করা হবে। নিহতের খালাতো ভাই মো. পারভেজ জানান, আমার ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলো। গতবছর বাড়িতে এসেছিল। সে একসময় ভালো ফুটবলার ছিল। বিএনপি করার কারণেই কয়েকবার জেল খাটতে হয়েছে। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ওলীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল হাসান বেনু বলেন, গোলাম কিবরিয়া ভাই ও তার ছোট ভাই কবির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মাঝেমধ্যে গ্রামে আসতেন। তিনি নির অহংকার মানুষ ছিলেন। সম্পর্কে তিনি আমার মামাতো ভাই। ছোটবেলা থেকেই তারা ঢাকায় থাকতেন।
খায়রুল হাসান বেনু হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে বলেন, গোলাম কিবরিয়া একজন সৎ ও নিরহংকার মানুষ ছিলেন। তার মতো মানুষকে কীভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হলো তা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমরা পরিবারের পাশে আছি এবং এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাই।
মনিরুল ইসলাম মনির 


















