আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সাংগঠনিক সচিব পীর আল্লামা মুফতি গিয়াসউদ্দিন তাহেরী বলেছেন, এই দেশ পীর আউলিয়ার দেশ। এই উপমহাদেশে ইসলাম এসেছে পীর আউলিয়াদের মাধ্যমে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত পীর আউলিয়াদের অনুসরণের মধ্য দিয়ে এদেশে কোরআন সুন্নাহ’র শাসন বাস্তবায়ন করতে চায়।
বাংলাদেশের আপামর সুন্নী জনতা বৃহত্তর সুন্নী জোটের মাধ্যমে এবার এক প্লাটফর্মে এসেছে। এখন আর আমার বিচ্ছিন্ন নই। বৃহত্তর সুন্নী জোট আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন শ’ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ইনশাআল্লাহ। চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে বৃহত্তর সুন্নী জোটের প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মাওলানা এএইচএম আহসান উল্লাহ। মার্কা হচ্ছে মোমবাতি। আমরা সকল শান্তিপ্রিয় জনগণকে উদাত্ত আহ্বান জানাবো- দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সুন্নী জোটের মার্কা মোমবাতিকে বিজয়ী করুন। কারণ, এটা প্রমাণিত যে, সুন্নীরাই এদেশে শান্তিপ্রিয়।
সুফিবাদী সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারী সুন্নী মুসলমানরা কখনও কারো উপর জুলুম করে না। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে না। সুন্নী মুসলমান সবসময় ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। তিনি তরিকতপন্থী সুন্নী মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলেন, এবার যেনো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল না করি। এদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ সুন্নী মুসলমান যদি এক থাকে তাহলে সরকার আমরাই গঠন করবো।
গিয়াসউদ্দিন তাহেরী রোববার (২৩ নভেম্বর ২০২৫) চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডস্থ বাহের খলিশাডুলী কাদেরিয়া চিশতিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সালানা জলছায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। মাহফিলে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৩ আসনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সমর্থিত ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট তথা বৃহত্তর সুন্নী জোট মনোনীত মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী সাংবাদিক মাওলানা এএইচএম আহসান উল্লাহ। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা গাউছিয়া কমিটির দাওয়াতে খায়ের সম্পাদক বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন আল্লামা আনম সাইফুল্লাহ।
উপস্থিত ছিলেন জেলা গাউছিয়া কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহজামাল তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লামা আনম মুহিবুল্লাহ, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লামা জসিম উদ্দিন আল-কাদেরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কাদেরিয়া চিশতিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হাসানুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আব্দুল হান্নান নিজামী প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম। অনুষ্ঠানে অসংখ্য মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকাল থেকে মাদ্রাসায় কোরআন খতম এবং মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল তথা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার উপর ত্রিশ পারা দুরূদ শরীফ তিলাওয়াত করা হয়। জলছায় ফকির আব্দুস সোবহান হাফেজিয়া মাদ্রাসার দুইজন কোরআনে হাফেজকে পাগড়ি প্রদান এবং সনদ দেয়া হয়।
স্টাফ রিপোর্টার॥ 






















