ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হানাদারমুক্ত মতলবের ৫৪তম দিবস, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের স্মৃতি আজও উজ্জ্বল

Oplus_131072

চাঁদপুরের মতলব আজ উদযাপন করছে মতলব মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে মতলব থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং মতলব ঘোষণা পায় শত্রুমুক্ত এলাকা হিসেবে।
ঐতিহাসিক সূত্র মতে, ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে সড়কপথে পাকিস্তানি সেনারা মতলবে এসে থানায় ক্যাম্প স্থাপন করে। দখলের পর তারা সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা এনায়েতনগর গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং বহু নারী নির্যাতনের শিকার হন।
হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা খিদিরপুর, বহুরী, বাগানবাড়ি, মোহনপুর ও এনায়েতনগর এলাকায় পাঁচটি মুক্তিযোদ্ধা ঘাঁটি গড়ে তোলেন। লালারহাট, বোয়ালমারীসহ কয়েকটি স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। সর্বস্তরের জনগণের প্রতিরোধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের মুখে অবশেষে ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী নদীপথে মতলব ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকার ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, যাদের স্মৃতি আজও মতলববাসীর হৃদয়ে অম্লান।
মতলব মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধা ও বীর পরিবারদের নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়ায় পরিবারকল্যাণ কর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত

হানাদারমুক্ত মতলবের ৫৪তম দিবস, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের স্মৃতি আজও উজ্জ্বল

Update Time : ১০:৪৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
চাঁদপুরের মতলব আজ উদযাপন করছে মতলব মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে মতলব থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং মতলব ঘোষণা পায় শত্রুমুক্ত এলাকা হিসেবে।
ঐতিহাসিক সূত্র মতে, ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে সড়কপথে পাকিস্তানি সেনারা মতলবে এসে থানায় ক্যাম্প স্থাপন করে। দখলের পর তারা সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা এনায়েতনগর গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং বহু নারী নির্যাতনের শিকার হন।
হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা খিদিরপুর, বহুরী, বাগানবাড়ি, মোহনপুর ও এনায়েতনগর এলাকায় পাঁচটি মুক্তিযোদ্ধা ঘাঁটি গড়ে তোলেন। লালারহাট, বোয়ালমারীসহ কয়েকটি স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। সর্বস্তরের জনগণের প্রতিরোধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের মুখে অবশেষে ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী নদীপথে মতলব ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকার ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, যাদের স্মৃতি আজও মতলববাসীর হৃদয়ে অম্লান।
মতলব মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধা ও বীর পরিবারদের নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।