হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারের বিরুদ্ধে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মনির আদালতে মামলা ও হাজীগঞ্জ থানায় ডায়েরি (জিডি) করেছেন। উক্ত মামলা ও ডায়েরিতে স্বাক্ষী করা হয়েছে পৌর মেয়রসহ পৌর পরিষদের সকল কাউন্সিলরসহ অন্য ৩ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরগনকে।
মামলা ও ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, বিবাদী সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে তার বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ আসতে থাকে। এ সবের বিষয়ে ১নং স্বাক্ষী পৌর মেয়র মামলার বাদী কাজী মনিরসহ অন্য সকল কাউন্সিলরকে (স্বাক্ষী) বিবাদীকে অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে নিষেধ করেন।
এ ছাড়াও সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে মহরম আলীসহ ৫ জন ব্যক্তি বাদী হয়ে গত ৩১ জুলাই পৌরসভায় একটি অভিযোগ (নং-১৯৫/২০২২) দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ২নং বিবাদী হলেন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারের পিতা আনোয়ার হোসেন ছিডা। পরবর্তীতে অভিযোগটি নিরসনকল্পে ৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনির ও ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মো. কবির হোসেনকে দায়িত্ব প্রদান করেন পৌর মেয়র।
দায়িত্ব পেয়ে কাউন্সিলরগণ অভিযোগের বাদী ও বিবাদী পক্ষদের পরপর ৩টি লিখিত নোটিশ জারী করেন। উক্ত নোটিশে প্রেক্ষিতে বাদী পক্ষ উপস্থিত থাকলেও বিবাদী পক্ষ তৃতীয় বৈঠকে অনুউপস্থিত থাকেন। এতে বিবাদীপক্ষের অনুপস্থিত ও অসহযোগিতার কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরগণ বিধি অনুযায়ী বিরোধীয় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি মর্মে পৌর মেয়রের কাছে একটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এতে অভিযোগের ২নং বিবাদী আনোয়ার হোসেন ছিডার মেয়ে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার বাদী কাজী মনিরের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর তার ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পৌরসভার মেয়র আ.স.ম মাহবুুব-উ আলম লিপন ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্ট ও লাইভ করেন।
ওই ফেসবুক পোস্ট ও লাইভে তিনি পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মনিরের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য তুলে ধরে বিভিন্ন অভিযোগ উল্লেখ করেন। যার ফলে কাউন্সিলর কাজী মনির বাদী হয়ে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারকে বিবাদী করে আদালতে মামলা ও হাজীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।
এদিকে আদালতে দায়েরকৃত মামলা ও থানায় সাধারন ডায়েরির তদন্ত বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।