ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শবনম বুবলী যে কোনো সময় সংবাদ সম্মেলনে আসবেন বলে জানিয়েছেন। শাকিবের সঙ্গে তৈরি হওয়া তার দ্বন্দ্ব ও দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েন নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন তিনি।
বুবলীর জন্মদিনে শাকিব খান হিরের নাকফুল উপহার দিয়েছেন বলে দাবি নায়িকার। এ নিয়ে শাকিবের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ফেসবুকে খোঁচা দিয়েছেন বুবলীকে। এই নায়িকাও অপুকে ছেড়ে কথা বলেননি।
প্রথমে চুপ থেকে পরে শাকিব সাক্ষাৎকার দিয়েছেন গণমাধ্যমে। সেখানে স্পষ্ট করে বলেছেন, বুবলীকে তিনি নাকফুল দেননি। তার সঙ্গে শাকিবের সম্পর্ক জোড়া লাগার নয়। মূলত এ নিয়েই শাকিব-বুবলীর দ্বন্দ্ব।
এ বিষয়ে বুবলী বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, শাকিব খানের সাক্ষাৎকারটি দেখে আমি অবাক হয়েছি। সাক্ষাৎকারে সে যেভাবে বিবৃতি দিয়েছে, এটি আমার জন্য অনেক অপমানজনক। কারণ জন্মদিনের উপহার ধরে যে বক্তব্য সে দিয়েছে, এত শৈল্পিক একটি ব্যাপার নিয়ে সে কীভাবে এটি অস্বীকার করল, আমার মাথায় আসছে না।
শবনম বুবলী বলেন, শাকিব খানের বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই। সবকিছু নিয়ে এত লুকোচুরি কেন? আমাকে যখন বিয়ে করেছিল, অনেক কিছু গোপন করেছিল। আমাকে আগের বিয়ের মিথ্যা কথা বলে বিয়েও করেছেন। কার কথার চাপে পড়ে এমন হয়েছে আমার জানা নেই। যখন যা ইচ্ছা করবে এটি মেনে নেব না। কাকে খুশি রাখতে এমন হচ্ছে বলতে পারব না। আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে চাচ্ছি সবার সামনে।
তিনি আরও বলেন, আমার ইমেজ নষ্ট হয় এমন কথা শাকিব খান নিয়মিত বলে আসছেন। এসব নিয়ে বিস্তারিত কথা সবাইকে জানাতে চাই।
চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে আসে শাকিব খান ও শবনম বুবলীর বিয়ে-সন্তানের কথা। তার কয়েক দিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুবলী জানান, ২০ জুলাই ২০১৮ এটি আমাদের বিয়ের তারিখ।
নতুন করে জল ঘোলা হয়েছে বুবলীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার নিয়ে। প্রথমে বুবলী বলেন, এটি শাকিব খানের দেওয়া উপহার, আর এর পরই এ বিষয় নিয়ে শাকিব খানের সাবেক ও বর্তমান স্ত্রীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাগযুদ্ধ শুরু হয়। আর এর পর তাতে আরও ঘি ঢালেন শাকিব খান।
বুবলীকে উপহার দেওয়া নিয়ে শাকিব খান গণমাধ্যমে বলেন, বুবলী ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেতেই পারেন। ১টা কেন, ১০টাও পেতে পারেন। তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবরা আছেন। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করে একটি কথা বলতে চাই— কোনো ধরনের ডায়মন্ডের নাকফুল আমি তাকে উপহার দিইনি। সত্যি কথা বলতে, তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগই নেই। উপহার দেওয়া কিংবা উইশ করা—কোনোটাই আমার পক্ষ থেকে হয়নি। সন্তানের প্রয়োজনে সে আমাকে বা আমি তাকে লিখলেও তা শুধু শেহজাদকে কেন্দ্র করে যতটুকু দরকার, ততটুকুই হয়, এর বাইরে আর কোনো কিছুর প্রশ্নই আসে না।
বুবলীর ‘হীরার নাকফুল’ পাওয়া নিয়ে অপুর তাচ্ছিল্যের হাসি ভরা পোস্ট এবং পরবর্তীতে শাকিব খানের এই ধরণের অস্বীকার তাকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে।