আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের অব্যাহত সহযোগিতার বিকল্পভাবনা হিসেবে যুদ্ধের ময়দানে রণকৌশল পরিবর্তন আনছে রাশিয়া। যুদ্ধের প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এরই ম্যধ্যে ইউক্রেনে জোরালো হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। উদ্দেশ্য হলো পশ্চিমাদের অস্ত্রের বড় চালান পৌছানোর আগেই বাখমুত দখলে নেয়া।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী দেশটিতে হামলা চালায় রাশিয়া। আর মাত্র এক সপ্তাহ পর যুদ্ধের ১ বছর পূর্ণ হবে।
যুদ্ধের বর্ষপূর্তির কাছাকাছি এসে রাশিয়া কৌশল পাল্টাচ্ছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক উপদেষ্টা বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বোকা বানানোর জন্য তারা (রাশিয়া) বিমান হামলার কৌশল পরিবর্তন করেছে। বিস্ফোরক ওয়ারহেড ছাড়াই ডিকয় (ফাঁকি দিতে সক্ষম) মিসাইল ব্যবহার এবং গোয়েন্দা বেলুন মোতায়েন করেছে মস্কো।
মিখাইলো পোডোলিয়াক নামে এই উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার মার্কিন বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘যুদ্ধের এক বছর পূর্তি হওয়ার আগে আগে রাশিয়ানরা অবশ্যই কৌশল পরিবর্তন করছে।’
পোডোলিয়াক বলেন, ডিকয় মিসাইলের লক্ষ্য হলো— অত্যধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে পেরেশান করে তোলা। যাতে তারা শত্রু বাহিনীর হামলা ঠেকাতে তালগোল পাকিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, ‘শত্রুরা অবকাঠামোগত ফ্যাসিটিগুলোতে আঘাত করার মাধ্যমে আমাদের বিমান বিধ্বংসী সিস্টেমকে ব্যতিব্যস্ত রাখতে চায়।’ তবে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তাদের চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে পোডোলিয়াক আবারও দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে মিত্রদের প্রতি আবেদন জানান। যাতে ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে অবস্থানরত রাশিয়ান সেনাদের টার্গেট করা যায়। এ ছাড়া ইউক্রেনের কাছে পর্যাপ্ত শেল নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে শুক্রবার জার্মানিতে বৈঠকে বসছেন বিশ্বনেতৃবৃন্দ এবং শীর্ষ সেনা কর্মকর্তরা।
তারা এমন সময় এ বৈঠকে বসছেন, যখন বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ইউক্রেনে আরও ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। খবর রয়টার্সের।