পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনে দুই শিশুর লাশ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাসফিয়া নামের ৫ বছর বয়সি এক শিশু ও সন্ধ্যায় মাইসা নামের দেড় বছর বয়সি এক শিশুকে নিয়ে আসা হয়। দুই শিশুকেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ড কংগাইশ গ্রামের প্রবাসী মো. কবির হোসেনের মেয়ে তাসফিয়া। সে নানার বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের হাজী বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। অপর দিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের চালিয়াপাড়া গ্রামের মুরাদ হোসেনের মেয়ে মাইসা নিজ বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।
জানা গেছে, সম্প্রতি মায়ের সাথে নানার বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের হাজী বাড়িতে বেড়াতে যায় শিশু তাসফিয়া। এদিন দুপুরের দিকে নানার বাড়িতে খেলাধূলা করছিল। বেশ কিছুক্ষন তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। এক পর্যায়ে তাকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দিকে একই দিন (বৃহস্পতিবার) বিকালে নিজ বসতঘরেই খেলাধূলা করছিল দেড় বছর বয়সি শিশু মাইসা। খেলাধূলার এক পর্যায়ে পরিবারের সবার অগোচরে ঘর থেকে বের হয়ে যায় শিশুটি। বেশ কিছুক্ষন তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। এক পর্যায়ে তাকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মাওলা নঈম জানান, শিশু তাসফিয়া ও মাইসাকে আমরা হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। অর্থ্যাৎ হাসপাতালের আনার পূর্বেই দুই শিশু মারা গেছে। তিনি বলেন, বর্ষাকালে চারদিকে পানি। যেসব পরিবারের ছোট শিশু রয়েছে এবং যেসব বাচ্ছারা সাঁতার জানে না, তাদের পরিবারের সদস্যদের বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।