কচুয়ায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় ফসলী জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের উজানী গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। উজানী বাজারের পশ্চিম পাশের পাঁকা সড়কের পাশে ফসলি জমি উপর দিয়ে জনবসতি বিহীন এলাকায় এ রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
জমির মালিক খোরশেদ আলম জানান, আমার ৭৯ শতক ধানের ফসলী জমির ধান বিনষ্ট করে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে রাতের অন্ধকারে ভ্যাকু দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে। এতে আমার উপার্জনের একমাত্র জমি বিনষ্ট করে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের মৎস্য খামারের জন্য এ রাস্তা নির্মাণ করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,ব্যাক্তিগত মাছের খামার করার জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় মোজাম্মেল মেম্বার ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে অসহায় খোরশেদ আলমের কৃষি জমি নষ্ট করে ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর জোরপূর্বক অবৈধ ভেকু দিয়ে রাস্তা তৈরী করে। প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছে এলাকাবাসী। তাছাড়াও মোজাম্মেল মেম্বার অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন করায় বসতবাড়ী ও কৃষি জমি হুমকি মুখে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে মেম্বার মোজাম্মেল হোসেনের অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করার অভিযোগ করা হলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন কাউকে কোন তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে দেদারচ্ছে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে যাচ্ছে। তার ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। সাধারণ লোকজন তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের ব্যবহারিত ০১৮১৫২৩৬০২৯ এ নাম্বারে ফোনে দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.রাকিবুল ইসলাম জানান,ফসলি জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি শুনেছি। সরজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কচুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মো.ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের ড্রেজারটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি সে রাতের আধাঁরে ড্রেজারটি চালায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।