• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চাঁদপুর সদর থানায় ঢুকে পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করলেন শিক্ষার্থীরা, ওসি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চাঁদপুরে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, শহরে জলাবদ্ধতা পুলিশ সুপারেরর সাথে বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে সদর উপজেলা ইউএনও’র মতবিনিময় সভা চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কচুয়ায় রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার নোয়াখালীর সাবেক এমপি স্ত্রী ও সন্তানসহ আটক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান কিনা রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন নাহিদ কচুয়ায় সড়কে যানজট নিরসনে স্কাউট সদস্য ও সাধারন শিক্ষার্থী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্বরণে দশানী এলাকায় আলোচনা সভা ও দোয়া

হাজীগঞ্জের বাকিলায় আগুনে দিনমজুরের বসতঘর পুড়ে ছাই

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

হাজীগঞ্জে বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিটের আগুনে হারুন হাওলাদার নামের এক দিনমজুরের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের গোগরা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বসতঘর ও ঘরে থাকা সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি ওই বাড়ির মৃত সোলেমান হাওলাদারের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এদিন বেলা আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে ওই বাড়ির হারুন হাওলাদারের বসতঘরে আগুন দেখে নিজ বাড়ির লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এসময় প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন এবং তারা শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু ভয়াবহ আগুনের কাছে তারা অসহায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগেই বসতঘরটি পুড়ে যায়।

খবর পেয়ে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুদের ভীড় জমে ওই বাড়িতে। ওই বাড়ির লোকজন জানান, হারুন হাওলাদার একজন দিনমজুর। তিনি কয়েকটি এনজিও থেকে কিস্তির (ঋণ) টাকা উঠিয়ে বসতঘর নির্মাণ করেন এবং সেই টাকা পরিশোধ করে তিনি আবারো ঋণ উঠান। ঋণের টাকা দিয়ে এক এক করে তিনি আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজসহ বসতঘরকে সাজানোর যা কিছু প্রয়োজনীয় সবকিছুই কিনেন।

তারা বলেন, আগুনে হারুন হাওলাদারের চৌকাঠে নির্মিত বসতঘর ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, টিভি, ফ্রিজ, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, পোশাক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে পরনের কাপড় ছাড়া তাঁর ও পরিবারের কোন কিছুই থাকলো না। তাই, প্রশাসনসহ বিত্তবানদের প্রতি হারুন হাওলাদারকে সহযোগিতার আহবান জানান এলাকার লোকজন।

ক্ষতিগ্রস্ত হারুন হাওলাদার কান্নাজড়িত কন্ঠে সংবাদকর্মীদের বলেন, বাবারে আমার সব শেষে হয়ে গেছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন আমি কি করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবো। আর কি করেই ঘর করবো ? এ সময় হারুন হাওলাদারের পরিবারের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

এ ব্যাপারে বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিলন জানান, সব শুনেছি। লোকটি আসলেই নি:স্ব। আমরা উনাকে কিছু সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০