প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আবার ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করতে দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক তাণ্ডবলীলা চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘এটা করার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণরূপে পঙ্গু করে দেশকে আবার ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করা। এটাই বোধ হয় এর পেছনে তাদের ষড়যন্ত্র।’
আজ শনিবার সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সংঘাতে আহত ব্যক্তিদের দেখতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) যান প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি আবেগঘন কণ্ঠে এই কথা বলেন। এভাবে আর কেউ যেন কোনো ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতেই এই ষড়যন্ত্র। দেশের মানুষকেই এই সহিংসতার বিচার করতে হবে। কোটা আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’র জন্যই এত মানুষ হতাহত হলো। এইভাবে আর কেউ যেন কোনো ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে না পারে, সেই দিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য যা যা লাগবে, করে দেব এবং করে দিচ্ছি। যাঁদের অঙ্গহানি হয়েছে, তাঁদের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের ব্যবস্থা নেবে তাঁর সরকার। যাতে তাঁরা আবার সুস্থ মানুষের মতো চলাফেরা করতে পারেন। নিজেদের কাজ করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সাধ্যমতো আমরা করে দেব, কিন্তু দেশবাসীর কাছে আমি বিচার চাই। অপরাধটা কী করেছি? এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ আর কেউ যেন এই দেশে চালাতে না পারে, সে জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।’
শেখ হাসিনা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তিনি আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক কাজী শামীম উজ্জামান আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানান। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।