চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজরের উত্তর পার্শ্বে অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেনের সামনে এক ফার্নিচার দোকানের শ্রমিক এক কিশোরকে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে জঘন্যতম ভাবে মারপিট করা করেছে ইজিবাইক চালক আলমগীর ও সাগর নামে দুই ব্যক্তি।
গত ৭ নভেম্বর বিকাল ৩ ঘটিকায় এ ঘটনার পর আহত শরীফ (১৭) কে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়।
পরে শরীফের মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে আলমগীর (৩২), মোঃ সাগর (২৬), নুরুল ইসলামের ছেলে শাহআলম (৪০) ও শাহআলমের স্ত্রী সাজু বেগম (৩০) কে আসামী করে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেনে শিশুদের বিনোদনের জন্য কিছু আইটেম স্থাপন করে রাজমিস্ত্রিরা পাশের্^র একটি ফার্নিচারের দোকানে মমরুজকান্দি গ্রামের শরীফকে দেখাশোনা করার জন্য দায়িত্ব দেয়।
যাতে করে নতুন রড সিমেন্টের ঢালাই শুকানো পর্যন্ত কোন শিশু বাচ্চারা নস্ট না করতে পারে। কিন্তু আসামী আলমগীরের ভাগিনা ওই আইটেম নড়াচড়া করতে থাকে, ওই সময় শরীফ তাকে নড়াচড়া করতে না করায় শিশুটি শরীফকে গালাগাল দেয় এবং তার মামা অর্থ্যাৎ আলমগীর ও সাগরকে নিয়ে আসে। আলমগীর এসে শরীফকে গালমন্দ করতে থাকে, তাতে নিষেধ করায় শরীফের মাথায় দা দিয়ে কোপ মারে আলমগীর।
এর সাথেই আবার ২নং আসামী সাগর লোহার রড দিয়ে শরীফের মাথায় আঘাত করার লক্ষ্যে বারি দেয়, ওই বারি শরীফের ডান চোখে গিয়ে পড়লে মারাত্মাক ফাটা ফুলা রক্তাক্ত জখম হয়। পরে আসামী আলমগীর শরীফকে হত্যা করার লক্ষ্যে গলা চেকে ধরে। ওই সময় তাকে বাঁচাতে মাইনুদ্দিন এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পরে আসামী সাজেদা আক্তার (সাজু) ও তার স্বামী শাহআলম তাদের বাড়িতে এসে মামলা না করতে হুমকি ধামকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।
আহত শরীফ বলেন, আমাকে বিনা দোষে তারা এভাবে মারধর করেছে। স্কুলের খেলনা স্থাপনা দেখাশোনা করার দায়িত্বে দিয়েছে, কেন আলমগীরের ভাগিনাকে নিষেধ করলাম তাই আলমগীর ও তার ভাই সাগর এসে আমাকে হত্যা উদ্দেশ্যে এলোপাথারী মারধর করে। শরীফের মা বলেন, আমার ছেলেকে তারা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মারধর করে। আমার ছেলেকে এক সপ্তাহ চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে এনেছি।
তাকে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আমি এখন পথের ফকির হয়ে গেলাম। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করার উদ্দেশ্যে যারা মারধর করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
এদিকে আসামী আলমগীর হোসেন ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি যখন দেখলাম শরীফ আমার ভাগিনাকে ইটের টুকরা দিয়ে ঢিলা দিচ্ছে, তখন তাকে ডাক দিয়েছি। কিন্তু সে আমার কথা শোনে নাই। পরে তাকে লাঠি দিয়ে মেরেছি।