ঢাকা 8:02 am, Monday, 8 September 2025

শীতে কাবু চাঁদপুরের জনজীবন

  • Reporter Name
  • Update Time : 03:07:19 pm, Sunday, 8 January 2023
  • 34 Time View

মনিরুল ইসলাম মনির:
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় হিম হয়ে যাচ্ছে চাঁদপুরের জনজীবন। প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। এখনো দেখা যায়নি সূর্য্যকে। তাই মানুষ যবুথবু হয়ে কোন রকম নিজের কাজ কর্ম করেছে। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লেও আজ বন্ধের দিন হওয়ায় মানুষ ঘর থেকে খুব কমই বের হচ্ছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

অন্যদিকে ঘন কুয়াশায় ৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল। ঘন কুয়াশায় অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এছাড়াও চাঁদপুর লঞ্চঘাটেও রাত থেকেই লঞ্চ চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। সকালে যে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে তা মাঝ নদীতে গিয়ে বেশি দূর এগোতে পারেনি বলে জানা গেছে।

গত বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। কেউ কেউ শীতের কারণে কাজও পাচ্ছেন না। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

প্রায় কয়েকদিন যাবত চাঁদপুরে এরূপ অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়াশার সাদা চাদরে ঢাকা থাকছে চারিদিক। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন। শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষসহ ছিন্নমূল মানুষের।

অটো রিকশা চালক কাশেম ও জিলানী জানান, ঠা-ার কারণে মানুষজন ঘর থেকে বের না হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। ফলে যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়া পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই বিপাকে আছি।

দিনমজুর নুরুল হক ও আবদুস সালাম বলেন, কোনো মতেই কাজ করলে পেট চলে। কাজ না করলে পেট চলে না, যে কারণে বাধ্য হয়ে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়। কোনো দিন জোটে, কোনো দিন জোটেই না। গত কয়েকদিন যে শীত পড়ছে তাতে কাজে যোগদান করতে পারছি না।

কৃষক সালাউদ্দিন ও মোরশেদ বলেন, শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে জমিতে হালচাষ করতে পারছি না। বোরো আবাদ শুরু হলেও ঠান্ডার কারনে জমিতে বোরো আবাদ করতে দেরি হচ্ছে। কোথাও সূর্যের দেখা না হওয়ায় জমিতে বীজতলা তুলতে বিপাকে রয়েছি।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, শৈত্য প্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলব সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে ছাত্রদলের শুভেচ্ছা বিনিময়

শীতে কাবু চাঁদপুরের জনজীবন

Update Time : 03:07:19 pm, Sunday, 8 January 2023

মনিরুল ইসলাম মনির:
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় হিম হয়ে যাচ্ছে চাঁদপুরের জনজীবন। প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। এখনো দেখা যায়নি সূর্য্যকে। তাই মানুষ যবুথবু হয়ে কোন রকম নিজের কাজ কর্ম করেছে। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লেও আজ বন্ধের দিন হওয়ায় মানুষ ঘর থেকে খুব কমই বের হচ্ছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

অন্যদিকে ঘন কুয়াশায় ৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল। ঘন কুয়াশায় অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এছাড়াও চাঁদপুর লঞ্চঘাটেও রাত থেকেই লঞ্চ চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। সকালে যে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে তা মাঝ নদীতে গিয়ে বেশি দূর এগোতে পারেনি বলে জানা গেছে।

গত বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। কেউ কেউ শীতের কারণে কাজও পাচ্ছেন না। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

প্রায় কয়েকদিন যাবত চাঁদপুরে এরূপ অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়াশার সাদা চাদরে ঢাকা থাকছে চারিদিক। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন। শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষসহ ছিন্নমূল মানুষের।

অটো রিকশা চালক কাশেম ও জিলানী জানান, ঠা-ার কারণে মানুষজন ঘর থেকে বের না হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। ফলে যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়া পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই বিপাকে আছি।

দিনমজুর নুরুল হক ও আবদুস সালাম বলেন, কোনো মতেই কাজ করলে পেট চলে। কাজ না করলে পেট চলে না, যে কারণে বাধ্য হয়ে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়। কোনো দিন জোটে, কোনো দিন জোটেই না। গত কয়েকদিন যে শীত পড়ছে তাতে কাজে যোগদান করতে পারছি না।

কৃষক সালাউদ্দিন ও মোরশেদ বলেন, শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে জমিতে হালচাষ করতে পারছি না। বোরো আবাদ শুরু হলেও ঠান্ডার কারনে জমিতে বোরো আবাদ করতে দেরি হচ্ছে। কোথাও সূর্যের দেখা না হওয়ায় জমিতে বীজতলা তুলতে বিপাকে রয়েছি।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, শৈত্য প্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।