হাজীগঞ্জে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে যক্ষা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. গোলাম মাওলা নঈমের সভাপতিত্বে বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে এ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ওরিয়েন্টেশনে বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে ৮০ হাজার যক্ষা রোগী মারা যাচ্ছেন। অর্থ্যাৎ প্রতি ঘন্টায় ৯ জন। আমাদের অসচেতনতা, দায়িত্বহীনতা এবং গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে আশংকাজনক হারে এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তাই, যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সচেতনতার বিকল্প নেই। কারণ, এ রোগের জীবানু হাঁচি, কাশি ও বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে দ্রুত বংশ বিস্তার করে।
তারা বলেন, যক্ষা রোগের লক্ষণগুলো আমাদের সবাইকে জানতে হবে এবং কারো মাঝে এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে, দ্রুততার সাথে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে হবে। যেহেতু সরকার বিনামূল্যে যক্ষা রোগির চিকিৎসা দিয়ে থাকে। তাই অবহেলা না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে হবে। রোগ চিহিৃত হলে, নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে। অযথা ঔষধ সেবন না করে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্র্যাকের আয়োজনে এবং ব্র্যাক যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, মতলব দক্ষিণের প্রোগ্রাম অফিসার মো. রেজাউল কবিরের উপস্থাপনায় এ সময় যক্ষা রোগের লক্ষণ, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা: গোলাম মাওলা নঈম। এ সময় তিনি ওরিয়েন্টেশনে উপস্থিত বিভিন্নজনের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেন এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে অন্যকে সচেতন করার কথা বলেন।
শুরুতেই পবিত্র কোরআন মাজিদ থেকে তেলওয়াত করেন, হাসপাতাল মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মো. শোয়াইব হোসেন। এরপর যক্ষা বিষয়ক ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয়। ওরিয়েন্টেশনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (এমওডিসি) ডা: শামসুল আরেফিন, ডা: মাহমুদুল হাসান, যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ সহকারী মো. আব্দুর রহিম ব্র্যাক যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির হাজীগঞ্জের জোবায়ের হোসেন মিয়াজী উপস্থিত ছিলেন।