অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস আদালত সব জায়গাতেই চলছে গুঞ্জন। চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে নির্বাচনীয় উত্তাপ না থাকলেও আছে উত্তেজনা। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এ আসনটিতে নৌকার সাথে ত্রিমুখী লড়াই হবে ঈগল আর ট্রাকের।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে -৪৮৫৫৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছে-২৪৭৯৫১জন । নারী ভোটার -২৩৭৬১০ জন। এখানে মাত্র একজন হিজরা ভোটার রয়েছে । হাজীগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ৮৮টি আর বুথ সংখ্যা ৫৪২টি। শাহরাস্তি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ৬৫টি আর বুথ সংখ্যা ৩৭৮টি। দু উপজেলা মিলে মোট ভোট কেন্দ্র হলো ১৫৩ টি।
এ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলো ৭জন। তারা হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদী, মুক্তিজোটের প্রার্থী আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী বাকী বিল্লা মিশকাত, জাসদের প্রার্থী মনির হোসেন মজুমদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মাঈনুদ্দিন, শফিকুল আলম ফিরোজ।
এ আসনে ভোটার জরিপে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছে নৌকা। তবে হাজীগঞ্জে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঈগল প্রতীকে গাজী মাঈনুদ্দীন ও শাহরাস্তি উপজেলায় স্বতন্ত্রপ্রার্থী ট্রাক প্রতীকের শফিকুল আলম ফিরোজ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
দু’ উপজেলার স্থানীয়দের অভিমত হলো, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তির প্রত্যেক কেন্দ্রেই নৌকা প্রতীকের নিজস্ব ভোট রয়েছে। সেই ভোট গুলো অবশ্যই নৌকাতেই পড়বে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন বলেন, নৌকার ভোট নৌকাতেই যাবে। নৌকার লোক কখনোই অন্য প্রতীকে ভোট দিবেনা। তবে অন্যরা কিছু ভোট নষ্ট করবে।
তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলায় নৌকার রিজার্ভ ভোট আছে ৫০ হাজার। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম’র ব্যক্তি ইমেজ, ভালো মানুষ তার কিছু ভক্ত আছে। এমন ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজারের কম নয়। নৌকার কিছু একনিষ্ঠ কর্মী আছে। তারা কখনোই নৌকার সাথে বেঈমানী করবেনা। রাগ অভিমান যাই থাকুক নৌকাই তারা শেষ পর্যন্ত ভোট দিবে।
তবে কয়েকজন ভোটারের সাথে আলাপ করে জানাযায়, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে গত ১৫ বছরে মেজর রফিক অনেক উন্নয়ন করেছে। প্রায় ১ হাজার গৃহহীণ পরিবারকে ঘর করে দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবন, ব্রীজ, কালভার্ট করেছে। গ্রামে গ্রামে পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছে। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে। তাহলে নৌকা বিজয় না হওয়ার কারণ কি? তারা বলেন, কিছু ব্যক্তির কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে সব ঠিক হয়ে যাবে। তারা আরো বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের গাজী মাঈনুদ্দীনের সাথে নৌকার ভোট যুদ্ধ হবে। শাহরাস্তি ট্রাকের সাথে নৌকার লড়াই হবে। তবে দু’ উপজেলাতেই নৌকা বিজয়ী হবে। কারণ নৌকার নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে। অন্যদের তা নেই।
হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা সহকারি রিটার্ণিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৪জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। এ উপজেলায় ১ প্লাটুন সেনাবাহিনী ও ১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
অপর দিকে শাহরাস্তি ৩জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। এ উপজেলায় ১ প্লাটুন সেনাবাহিনী ও ১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশা-পাশি ভোট কেন্দ্রের পাহারায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশ বাহিন।