ঢাকা 9:15 pm, Friday, 22 August 2025

মোবাইলে জোরে কথা বলায়, ভাবী ও ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যা

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:03:48 am, Monday, 19 February 2024
  • 26 Time View

মোবাইলে জোরে কথা বলার জের ধরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বড় ভাই ও তার পরিবার। রোববার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দুর্গাপুর গ্রামের টুকু মীনার স্ত্রী বিউটি বেগম (৪৫) ও তাদের মেয়ে লামিয়া (১৫)। লামিয়া স্থানীয় খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমি থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। ইতিমধ্যে সে দুটি পরীক্ষায় অংশও নিয়েছে।

টুকু মীনা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি পার্শ্ববর্তী পঙ্গুবাজারে ছিলেন। এদিন সন্ধ্যায় তার মেয়ে লামিয়া বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে দুলাভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। এ সময় বড় ভাই হারুন মীনা তাকে দূরে সরে গিয়ে আস্তে কথা বলতে বলেন। কিন্তু লামিয়া তার কথা না শোনায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এ সময় লামিয়ার মা বিউটি বেগম ঘর থেকে বেরিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বড় ভাই, ভাবী ও ভাইজি তিনজন মিলে ধারালো অস্ত্র (কাতরা) দিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই লামিয়ার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত বিউটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

ডাবল মার্ডারের কথা স্বীকার করে গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুজনেরই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে। সদর উপজেলার ফুকরা এলাকা থেকে হারুণ মীনাকে আটক করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত মমতাময়ী মায়ের পা ধুইয়ে দিল শিক্ষার্থীরা

মোবাইলে জোরে কথা বলায়, ভাবী ও ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যা

Update Time : 09:03:48 am, Monday, 19 February 2024

মোবাইলে জোরে কথা বলার জের ধরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বড় ভাই ও তার পরিবার। রোববার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দুর্গাপুর গ্রামের টুকু মীনার স্ত্রী বিউটি বেগম (৪৫) ও তাদের মেয়ে লামিয়া (১৫)। লামিয়া স্থানীয় খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমি থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। ইতিমধ্যে সে দুটি পরীক্ষায় অংশও নিয়েছে।

টুকু মীনা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি পার্শ্ববর্তী পঙ্গুবাজারে ছিলেন। এদিন সন্ধ্যায় তার মেয়ে লামিয়া বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে দুলাভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। এ সময় বড় ভাই হারুন মীনা তাকে দূরে সরে গিয়ে আস্তে কথা বলতে বলেন। কিন্তু লামিয়া তার কথা না শোনায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এ সময় লামিয়ার মা বিউটি বেগম ঘর থেকে বেরিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বড় ভাই, ভাবী ও ভাইজি তিনজন মিলে ধারালো অস্ত্র (কাতরা) দিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই লামিয়ার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত বিউটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

ডাবল মার্ডারের কথা স্বীকার করে গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুজনেরই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে। সদর উপজেলার ফুকরা এলাকা থেকে হারুণ মীনাকে আটক করা হয়েছে।