অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহায়তাকারী মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে পালিয়ে যাওয়ার সাহায্য করায় আরও পাঁচজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নূরুল আলম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিন্ডিকেটের সভায় ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান এবং শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ও একই বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া মূল অভিযুক্ত বহিরাগত মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্থায়ী বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা হলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, একই বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহ পরান, একই বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী মো. হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান। স্থায়ী বহিষ্কৃত আরেকজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ধর্ষণের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ করার জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে হলসংলগ্ন পাশের জঙ্গলে নিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় ছয়জনকে আসামি মামলা করেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।