মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
হাজীগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননকারী মাহফুজুর রহমান নামের (১৯) এক তরুণ ও নুসরাত জাহান মাহী (২০) নামের এক নববধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ মে) সকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ গ্রামের সৈয়দ আলী হাজী বাড়ী থেকে ওই তরুণ এবং উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের নমসূত্র বাড়ী থেকে নববধুর মরদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
আত্মহননকারী মাহফুজুর রহমান ওই বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে। প্রেমঘটিত কারণে মাহফুজুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। তবে এ বিষয়ে পরিবারের কোন সদস্যই সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলেনি। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যান, হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপিনাথ অধিকারী। তিনি পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং নিহতের সুরতহাল শেষে মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
অপর দিকে একই দিন (সোমবার) দুপুরে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের নমসূত্র বাড়ী থেকে ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, শাহরাস্তির শোরশাক চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা প্রভাষক জাকির হোসেন ফরিদের স্ত্রী নববধু নুসরাত জাহান মাহীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপিনাথ অধিকারী। তিনি সুরতহাল শেষে মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
এর আগে গত এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ শুক্রবার জাকির হোসেন ফরিদ ও নুসরাত জাহান মাহী পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিয়ের মাত্র ২৪ দিনের মাথায় নুসরাত জাহান মাহী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। তিনি শাহরাস্তি উপজেলার শোরসাক চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। শিক্ষক-ছাত্রী প্রেম করেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মাহীর স্বামী জাকির হোসেন ফরিদ সংবাদকর্মীদের জানান, তিনি সোমবার সকালে নাস্তা করে কলেজে চলে যান। কলেজে যাওয়ার পর তিনি মুঠোফোনে জানতে পারেন, স্ত্রী নুসরাত জাহান মাহী আত্মহত্যা করেছেন। তারপর তিনি দ্রুত বাড়িতে আসেন। এর মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, মাহফুজুর রহমান ও নুসরাত জাহান মাহী নামের দুইজনের মরদেহ উদ্ধারপূর্বক সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুইটি চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এছাড়াও দুইটি মৃত্যুর ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি এবং এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় পৃথক ২টি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।