মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করেছেন। ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ফোটাচ্ছেন। প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসছেন ভোটাররা। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থী অংশ গ্রহণ করছেন।
আগামী কাল ৮মে ভোট গ্রহণ কে সামনে রেখে প্রার্থীরা ভোট আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।কমবেশি সব প্রার্থীই ভোট আদায়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বিশেষ করে চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থীর প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো ভোটাররা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস কাপ-পিরিচ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হলে উপজেলার সার্বিক সমস্যা চিহ্নিত করে উন্নয়নের পাশাপাশি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নয়ন করবেন বলে উঠান বৈঠকগুলোতে এসব প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি ৫ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এবার নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি দৃষ্টি নন্দন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপজেলার সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মানিক একটি অগ্রসর উপজেলা গঠনে কাজ করার কথা তুলে ধরে তিনি নির্বাচিত হলে বেকারত্ব দূরীকরণে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন তাঁর প্রচারপত্রে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তিনি পরিবর্তনের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ফোটাচ্ছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মন ভূলানো প্রতিশ্রুতি নির্বাচনের পর যেন নির্বাচিতদের মনে থাকে এটা প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, নির্বাচন এলে কত প্রতিশ্রুতি শুনা যায় নির্বাচনের পর নির্বাচিতরাও এসব ভুলে যান তখন নাগরিক হিসেবে আমরা কষ্ট পাই।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন বলেন, প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারবেন। কেউ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।