ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামিন পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • ৮৪ Time View

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের দণ্ড পাওয়া নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করা হলে চারজনের জামিন ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ড. ইউনূসসহ চার আসামিই আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে বিচারক সময় বাড়ানোর আদেশ দেন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেয়। ৩ মার্চ ফের শুনানি শেষে জামিনের সময় পরবর্তী তারিখ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। ১৬ মার্চ ফের শুনানি শেষে জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এরপর আজ আবারও জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হলো।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্রমআইন ২০০৬ ও শ্রমবিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত বিলে জমা দেয়া হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

জামিন পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

Update Time : ০৩:২৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের দণ্ড পাওয়া নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করা হলে চারজনের জামিন ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ড. ইউনূসসহ চার আসামিই আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে বিচারক সময় বাড়ানোর আদেশ দেন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেয়। ৩ মার্চ ফের শুনানি শেষে জামিনের সময় পরবর্তী তারিখ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। ১৬ মার্চ ফের শুনানি শেষে জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এরপর আজ আবারও জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হলো।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্রমআইন ২০০৬ ও শ্রমবিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত বিলে জমা দেয়া হয়নি।