ঢাকা 5:42 am, Monday, 4 August 2025

ঘূণিঝড় রিমেলের প্রভাব: চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ২০ মিটার দেবে গেছে

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:46:47 am, Tuesday, 28 May 2024
  • 16 Time View

ছবি-ত্রিনদী

ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে চাঁদপুরের পুরান বাজার হরিসভা মন্দির এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধের অন্তত ২০ মিটার মেঘনা নদীতে দেবে গেছে।

দিনভর টানা বৃষ্টিপাত ও মেঘনার উত্তাল ঢেউ সোমবার (২৭ মে) বিকেলে বাঁধে ভাঙন ধরে।

তাৎক্ষণিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনকে বালিভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাতে দেখা যায়।

পুরান বাজার মেঘনা নদীর তীর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকে ঢেউয়ের তীব্রতা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় কয়েক ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে তীরে। পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরের অনেক লোকজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা বলেন, বর্ষা আসলে প্রতি বছর নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। ইতিমধ্যে অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। ভাঙন দেখা দিলে কর্মকর্তারা আসেন নদীতে বালির বস্তা ফেলতে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। যে পরিস্থিতি রাতে আমাদের বাড়িঘর টিকে কিনা আমরা খুব শঙ্কিত।

ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শনে আসা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের কাছে ভাঙনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ২০ মিটারের মত শহর রক্ষা বাঁধ দেবে গেছে। এরপরে তিনি আর কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে মুঠোফোন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, পুরান বাজার শহর রক্ষা বাদে ভাঙনের খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করি বড় ধরনের কোন সমস্যা হবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

চাঁদপুরের কচুয়ার সম্রাট ও তার ছেলে ফ্লাইট এক্সপার্ট এমডি সালমান গ্রাহকের কয়েক শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা

ঘূণিঝড় রিমেলের প্রভাব: চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ২০ মিটার দেবে গেছে

Update Time : 08:46:47 am, Tuesday, 28 May 2024

ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে চাঁদপুরের পুরান বাজার হরিসভা মন্দির এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধের অন্তত ২০ মিটার মেঘনা নদীতে দেবে গেছে।

দিনভর টানা বৃষ্টিপাত ও মেঘনার উত্তাল ঢেউ সোমবার (২৭ মে) বিকেলে বাঁধে ভাঙন ধরে।

তাৎক্ষণিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনকে বালিভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাতে দেখা যায়।

পুরান বাজার মেঘনা নদীর তীর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকে ঢেউয়ের তীব্রতা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় কয়েক ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে তীরে। পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরের অনেক লোকজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা বলেন, বর্ষা আসলে প্রতি বছর নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। ইতিমধ্যে অনেকেই বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। ভাঙন দেখা দিলে কর্মকর্তারা আসেন নদীতে বালির বস্তা ফেলতে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। যে পরিস্থিতি রাতে আমাদের বাড়িঘর টিকে কিনা আমরা খুব শঙ্কিত।

ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শনে আসা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের কাছে ভাঙনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ২০ মিটারের মত শহর রক্ষা বাঁধ দেবে গেছে। এরপরে তিনি আর কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে মুঠোফোন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, পুরান বাজার শহর রক্ষা বাদে ভাঙনের খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করি বড় ধরনের কোন সমস্যা হবে না।