• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চাঁদপুরে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, শহরে জলাবদ্ধতা পুলিশ সুপারেরর সাথে বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে সদর উপজেলা ইউএনও’র মতবিনিময় সভা চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কচুয়ায় রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার নোয়াখালীর সাবেক এমপি স্ত্রী ও সন্তানসহ আটক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান কিনা রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন নাহিদ কচুয়ায় সড়কে যানজট নিরসনে স্কাউট সদস্য ও সাধারন শিক্ষার্থী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্বরণে দশানী এলাকায় আলোচনা সভা ও দোয়া দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত : দুদকের প্রতিবেদন

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকা আহরণ থেকে বিরতা থাকা জেলেদের বরাদ্দকৃত ৬.৭২ মেট্টিক টন চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক চাঁদপুর।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ হয়। ওই অভিযোগটি মামলায় রূপান্তির হলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি দুদক সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট মামলা হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে আমি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করি। এতে দেখা যায় ওই ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষিত জেলেদের চাল প্রথমে ৪.১ মেট্টিক টন কম পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সকল কাগজপত্র দেখে চুড়ান্তভাবে ৬.৭২ মেট্টিক টন চাল কম পাওয়া যায়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করি।

এর আগে ২০২২ সালের ১৭ মে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী জেলা খাদ্য গুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। পরদিন ১৮ মে ওই চাল বিতরণের জন্য গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস গোডাউনে থাকা চাল প্রাথমিকভাবে ওজন করে ৪.১ মেট্টিক টন কম পান। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ছিলো ৫৩.৬৮ মেট্টিক টন। বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। ইউএনও ওই চালের গোডাউন সীলগালা করে দিতে বলেন এবং গোডাউনটি সীলগালা করা হয়।

এই বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলায় রুপান্তিরত হলে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত এই মামলাটি দুদকে তদন্ত করার জন্য প্রেরণ করেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পরে আদালতের নির্দেশক্রমে সীলগালা অবস্থায় থাকা গোডাউন খুলে ওই চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০