মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কার এর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা জানিয়ে হাজীগঞ্জে মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী মিছিল করে। এ সময় অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১২টা থেকে পশ্চিম বাজারস্থ চৌরাস্তা এলাকায় একজন দুইজন করে ঝড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা একত্রিত হয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বসে পড়েন। এসময় কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে তারা। সড়কে কিছু সময় অবস্থান করার পর হাতে লেখা বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি হাজীগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে আবারও সড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরে এবং কোটা সংস্কারের দাবি জানান।
প্লেকার্ডে শিক্ষার্থীরা লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বিষ কিনে দেন। কারণ আমার কোটাও নাই, প্রশ্ন কেনার টাকাও নাই’। ‘কোটা ছেড়ে কলম ধর, বীরের রক্ত প্রমাণ কর’। ‘এমন একটি দেশে বসবাস করি, যেখানে মেধাকে প্রাধান্য না দিয়ে কোটাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়’। ‘কোটার বিরুদ্ধে সবাই স্বোচ্চার হোন, দেশকে রক্ষা করুন’।
আরও লেখা ছিলো, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার। কে বলেছে কে বলেছে, সরকার সরকার’। ‘আমরা যদি রাজাকার হই, সরকার তাহলে স্বৈরাচার’। ‘জেগেছে ছাত্র সমাজ, বদলে যাবে ইতিহাস’। ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’। এছাড়াও একাধিক শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড ছিলো শিক্ষার্থীদের হাতে।
উল্লেখ্য, কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে আইন প্রণয়নের এক দফা দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের করে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর মধ্যে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল। তাদের টানা আন্দোলনের কারণে গত সপ্তাহে কয়েকদিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে যানজটের সৃষ্টি এবং মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।