ঢাকা 2:33 am, Friday, 18 July 2025

গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বামীর মৃত্যু : শোকে স্ত্রীর আত্মহত্যা

  • Reporter Name
  • Update Time : 04:06:58 pm, Tuesday, 30 July 2024
  • 19 Time View

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শনিবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জিসান। সোমবার স্বামীর শোকে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন জিসানের স্ত্রী মিষ্টি। ১৪ মাস আগে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল তাদের। ছেলে জিসানের মৃত্যুর খবর পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে চলে আসেন জিসানের বাবা বাবুল সরদার। এরই শোকের মধ্যে শোক।

এলাকাবাসীর ধারণা, স্বামীর শোকেই তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বেশ কিছু দিন আগে ছেলে বাবার কাছে মোটরসাইকেল চেয়েছিল। সড়ক দুর্ঘটনার ভয়ে ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দেননি বাবা বাবুল সরদার। পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন জিসান আহমেদ।

এলাকাবাসী জানান, ২০ জুলাই রায়েরবাগে ২ নম্বর গলিতে দোকানে পানি সরবরাহের সময় শ্বশুরবাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ঢাকা মেডিকেলে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

জিসানের শ্বশুর মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা ওপর থেকে ডাকতেছি, পুলিশ গুলি করতেছে তুমি পিছে আসো। এই গলিতে তখন লোক ভরা ছিল।’ জিসান ফিল্টার পানির চাকরি করত। দোকানে দোকানে পানি দিত। যে সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সংগঠনের লোকজনের গোলাগুলি শুরু হয়েছিল, সেই সময় জিসান পানি সরবরাহ করতে এসেছিল এখানে।

বাবুল সরদার বলেন, জিসানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন পুত্রবধূ মিষ্টি। জিসানের প্যান্ট-শার্ট নিয়ে বসে থাকত। আমি বলছি, তুমি খাও, বলে খাব জিসানকে এনে দাও। সোমবার সকালে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হচ্ছে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’র গ্রাফিতি

গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বামীর মৃত্যু : শোকে স্ত্রীর আত্মহত্যা

Update Time : 04:06:58 pm, Tuesday, 30 July 2024

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শনিবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জিসান। সোমবার স্বামীর শোকে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন জিসানের স্ত্রী মিষ্টি। ১৪ মাস আগে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল তাদের। ছেলে জিসানের মৃত্যুর খবর পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে চলে আসেন জিসানের বাবা বাবুল সরদার। এরই শোকের মধ্যে শোক।

এলাকাবাসীর ধারণা, স্বামীর শোকেই তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বেশ কিছু দিন আগে ছেলে বাবার কাছে মোটরসাইকেল চেয়েছিল। সড়ক দুর্ঘটনার ভয়ে ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দেননি বাবা বাবুল সরদার। পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন জিসান আহমেদ।

এলাকাবাসী জানান, ২০ জুলাই রায়েরবাগে ২ নম্বর গলিতে দোকানে পানি সরবরাহের সময় শ্বশুরবাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ঢাকা মেডিকেলে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

জিসানের শ্বশুর মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা ওপর থেকে ডাকতেছি, পুলিশ গুলি করতেছে তুমি পিছে আসো। এই গলিতে তখন লোক ভরা ছিল।’ জিসান ফিল্টার পানির চাকরি করত। দোকানে দোকানে পানি দিত। যে সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সংগঠনের লোকজনের গোলাগুলি শুরু হয়েছিল, সেই সময় জিসান পানি সরবরাহ করতে এসেছিল এখানে।

বাবুল সরদার বলেন, জিসানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন পুত্রবধূ মিষ্টি। জিসানের প্যান্ট-শার্ট নিয়ে বসে থাকত। আমি বলছি, তুমি খাও, বলে খাব জিসানকে এনে দাও। সোমবার সকালে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।