পুলিশের কাছে ধরা খেয়ে জামায়াত কর্মী পরিচয় দিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা কৃষক লীগ নেতাআবুল কাসেম মুন্সীর। অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে গ্রেপ্তার হন ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভা কৃষক লীগের এক নেতা।
কিন্তু নিজেকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বলে পরিচয় দেন তিনি। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি আবুল কাসেম মুন্সীর। আজ সোমবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নান্দাইল মডেল থানায়।
গ্রেপ্তার আবুল কাসেম মুন্সী পৌর কৃষক লীগের সভাপতি। তিনি সংগঠনের উপজেলা কমিটিরও সদস্য। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চন্ডিপাশায় তাঁর বাড়ি। রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চৌরাস্তা বারুইগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি নিজেকে জামায়াতের কর্মী হিসেবে পুলিশের কাছে দাবি করেন।
পাঁচ মাস আগে জামায়াতে ইসলামে যোগদান করেছেন বলেও পুলিশকে জানান আবুল কাসেম। উপজেলার জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কৃষক লীগ নেতার এমন দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণ পায় পুলিশ।
উপজেলা জামায়াতের আমির কাজী শামসুদ্দিন বলেন, আগের সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর মধ্যে যারা অপকর্ম করেছে, তারা সেসব ঢাকার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। আবুল কাসেম তাদের দলের কর্মী নন। তার জামায়াতে যোগদানের খবরটি ভুয়া।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কৃষক লীগ নেতার পরিচয় আড়াল করার জন্য আবুল কাসেম মিথ্যার আশ্রয় নেন। সোমবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।