সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা ৩ দিন ধরে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। সোমবার বিকেল ৪টার মধ্যে তাদের সঙ্গে কথা না বললে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়জুড়ে বিক্ষোভ শেষে গেটগুলোর সামনে অবস্থান নেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ১, ২ ও ৪ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়।
এদিকে সচিবালয়ের এই আন্দোলনকে সংস্কারবিরোধী অবস্থান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অনেকেই।
সোমবার এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন এনসিপির নেতা রিফাত রশীদ।
তিনি তার পোস্টে বলেন, ‘সচিবরা সংস্কারের বিরুদ্ধে নেমেছেন মানে জুলাইয়ের বিরুদ্ধে নেমেছেন। আমরা একবার এটাকে সিভিল ক্যু হিসেবে ধরে নিলে কিন্তু কপালে শনি আছে সচিবরা।
সাবধান…’
এর আগে একই বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি তার পোস্টে বলেন, ‘জনদুর্ভোগ ও ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত করার ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে পরিচিত সচিবালয়ের ক্যু সম্পর্কে সচেতন থাকুন। ৫ আগস্ট পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণ করে, হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে অফিস করা সচিবালয়ের কর্মকর্তারা তাদের ক্যু অব্যাহত রাখলে তাদের পরিণতি পতিত হাসিনার মতো হবে। বাংলাদেশের জনগণ সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছে।