ঢাকা 12:04 am, Thursday, 24 July 2025

স্ত্রীকে হত্যার পরে চামড়া কেটে লবণ লাগানো স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আমিরুল ইসলামকে ওরফে বাবু

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সুলতানা আক্তার শান্তা নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী আমিরুল ইসলামকে ওরফে বাবুকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবু নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ বারুদী এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।

নিহত গৃহবধূ সুলতানা আক্তার শান্তা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলার বারদি এলাকার করিম মোল্লার মেয়ে ও আমিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ২০২০ সালে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী শান্তাকে তিনি হত্যা করেছেন। আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিতে বলেছে, স্ত্রী শান্তাকে শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে প্রথমে হত্যা করেছে। এরপর বঁটি দিয়ে শরীরের কয়েক জায়গায় চামড়া তুলে তাতে লবণ লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের করিম মোল্লা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সোনারগাঁ উপজেলার বারদি এলাকার করিম মোল্লার মেয়ে সুলতানা আক্তার শান্তার বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে বিয়ের দুই বছর পর ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর শান্তার অন্যত্র বিয়ে হয়। সাত মাস দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসার করার পর আমিরুল ইসলাম বাবু ফুঁসলিয়ে পুনরায় শান্তাকে বিয়ে করেন। এরপর বন্দরের রাজবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তারা। বিয়ের দুই মাস ছয় দিনের স্ত্রীকে হত্যা করেন আমিনুল ইসলাম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ডিউটি জরুরি বিভাগে, কিন্তু মতলবে কর্তব্যরত ডিউটি ডাক্তার ডিউটি করেন প্রাইভেট হাসপাতালে 

স্ত্রীকে হত্যার পরে চামড়া কেটে লবণ লাগানো স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

Update Time : 08:57:23 pm, Wednesday, 23 July 2025

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সুলতানা আক্তার শান্তা নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী আমিরুল ইসলামকে ওরফে বাবুকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবু নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ বারুদী এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।

নিহত গৃহবধূ সুলতানা আক্তার শান্তা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলার বারদি এলাকার করিম মোল্লার মেয়ে ও আমিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ২০২০ সালে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী শান্তাকে তিনি হত্যা করেছেন। আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিতে বলেছে, স্ত্রী শান্তাকে শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে প্রথমে হত্যা করেছে। এরপর বঁটি দিয়ে শরীরের কয়েক জায়গায় চামড়া তুলে তাতে লবণ লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের করিম মোল্লা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সোনারগাঁ উপজেলার বারদি এলাকার করিম মোল্লার মেয়ে সুলতানা আক্তার শান্তার বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে বিয়ের দুই বছর পর ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর শান্তার অন্যত্র বিয়ে হয়। সাত মাস দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসার করার পর আমিরুল ইসলাম বাবু ফুঁসলিয়ে পুনরায় শান্তাকে বিয়ে করেন। এরপর বন্দরের রাজবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তারা। বিয়ের দুই মাস ছয় দিনের স্ত্রীকে হত্যা করেন আমিনুল ইসলাম।