হাজীগঞ্জ পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত দিবসের প্রাত্যুষে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদ ফজর হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সম্মুখ থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে হাজীগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে আলীগঞ্জে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধাগণের সন্তান, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ দল, ফায়ারসার্ভিস, সাংবাদিক ও সুধীজন অংশগ্রহণ করেন।
উল্লোখ্য, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত হয়েছিল। এদিনে সকাল ৮টায় হাজীগঞ্জ বাজারস্থ হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সম্মুখে তৎকালীন সাধাণা ঔষধলায়ের সম্মুখে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলণ করেন বীরমু্ক্তিযুদ্ধ , ৭১’র তরুণযোদ্ধা হোসেন ইমাম হায়দার।
দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তির সংগ্রামে জেলার মুক্তিকামী জনতা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে হাজীগঞ্জে কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধের মুখোমুখি হয় মুক্তিযোদ্ধারা। তার মধ্যে অন্যতম ছিলো লাউকরা যুদ্ধ, নাসিরকোটি, হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার। সেই সময় হাজীগঞ্জে পাকহানাদার বাহিনী অবস্থান করেন টোরাগড়স্থ হামিদিয়া জুট মিলে। সেখান থেকে নৌ ও সড়ক পথে মুক্তিকামী মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করতো তারা। কথাগুলো যোগ করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজীগঞ্জ উপজেলা কমান্ডের কমান্ডার মো. আনোয়ারউল্যাহ পাটোয়ারি।
তিনি বলেন, লাউকরা ছাড়াও হাজীগঞ্জে আরো কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে এর মধ্যে রঘুনাথপুর, ফুলছোঁয়া, রাজারগাঁও, বলাখাল অন্যতম। এসব যুদ্ধে কয়েকজন শহীদ হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ আ. মতিন। যার মরদেহ পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকারর নিয়ে গিয়েছিলো। তাকে নৃসংশভাবে হত্যা করেছিলো। কয়েকজন বীর শহীদদের মৃতদেহ উদ্ধার করে নাসিরকোটে কবর দেয়া হয়েছে।
Reporter Name 


















