ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় ফসলি মাঠের সরকারি খাল দখল করায় বিপাকে কৃষকরা

কচুয়ায় ফসলি মাঠের সরকারি খাল দখল করায় বিপাকে কৃষকরা

কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে প্রায় ২শ’ বিঘা জমিতে পানির নিচে ডুবে থাকে উৎপাদন কৃষি ফসল। সরকারি খাল দখল করে সমতল জমি ও বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ঐ গ্রামের জমিগুলো পানিতে তলে থাকার কারণে সঠিক সময়ে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করতে পারছে না। সরকারি খাল দখল মুক্ত ও পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গতকাল রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষক আব্দুস ছাত্তার।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন,বিএস চুড়ান্ত ১৪৯ নং নুরপুর মৌজার ০১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ২৮০ নং দাগের ভূমি শ্রেণি হালট হিসেবে রেকর্ড ও নক্সায় লিপি রয়েছে। উক্ত ২৮০ নং দাগের হালট ভূমি দিয়ে নুরপুর মৌজার উত্তর-পূর্ব এলাকা এবং তুলাগাঁও মৌজার দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার বর্ষার মৌসুমের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র হালট ভূমি। ওই হালটের পার্শ্ববর্তী ভূমির মালিক অবৈধভাবে দখল করে নিজেদের ভূমির সাথে অন্তর্ভুক্ত করে ভোগদখল করায় বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতার ফলে ফসলাদি ও গবাদি পশু পালনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ফসলি মাঠের অবৈধ খাল দখল হতে উদ্ধার করে খাল বা নালা কেটে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে জলাবদ্ধতার হাত হতে রক্ষাক্রমে এলাকার ফসলাদি সঠিকভাবে চাষাবাদ করাসহ গবাদি পশু পালনের সংশ্লিষ্ট সুদৃষ্টি কামনা করছি।

স্থানীয় কৃষকরা জানান,এই ফসলি মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশারীরা। তারা অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন, যেখানে সেখানে যে যার মতো বাড়ি-ঘর নির্মাণ আর এলাকার বিভিন্ন ব্রিজ ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে এলাকার কৃষি জমি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই গ্রামের ভিতরে পানি ঢুকে দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে তলিয়ে থাকে ঐসব পাড়ার রাস্তাগুলো। এর ফলে কৃষকদের উৎপাদিত ধান, আলু ও অন্যান্য কৃষি পণ্য হাট-বাজারে নিয়ে যেতে নানা সমস্যায় পড়তে হয় কৃষকদের। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান রাসেল বলেন, লিখিত অভিযোগে বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি আমার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকে সরজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

সুবিদপুর দরবার শরীফে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত 

কচুয়ায় ফসলি মাঠের সরকারি খাল দখল করায় বিপাকে কৃষকরা

Update Time : ১০:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে প্রায় ২শ’ বিঘা জমিতে পানির নিচে ডুবে থাকে উৎপাদন কৃষি ফসল। সরকারি খাল দখল করে সমতল জমি ও বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ঐ গ্রামের জমিগুলো পানিতে তলে থাকার কারণে সঠিক সময়ে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করতে পারছে না। সরকারি খাল দখল মুক্ত ও পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গতকাল রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষক আব্দুস ছাত্তার।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন,বিএস চুড়ান্ত ১৪৯ নং নুরপুর মৌজার ০১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ২৮০ নং দাগের ভূমি শ্রেণি হালট হিসেবে রেকর্ড ও নক্সায় লিপি রয়েছে। উক্ত ২৮০ নং দাগের হালট ভূমি দিয়ে নুরপুর মৌজার উত্তর-পূর্ব এলাকা এবং তুলাগাঁও মৌজার দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার বর্ষার মৌসুমের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র হালট ভূমি। ওই হালটের পার্শ্ববর্তী ভূমির মালিক অবৈধভাবে দখল করে নিজেদের ভূমির সাথে অন্তর্ভুক্ত করে ভোগদখল করায় বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতার ফলে ফসলাদি ও গবাদি পশু পালনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ফসলি মাঠের অবৈধ খাল দখল হতে উদ্ধার করে খাল বা নালা কেটে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে জলাবদ্ধতার হাত হতে রক্ষাক্রমে এলাকার ফসলাদি সঠিকভাবে চাষাবাদ করাসহ গবাদি পশু পালনের সংশ্লিষ্ট সুদৃষ্টি কামনা করছি।

স্থানীয় কৃষকরা জানান,এই ফসলি মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশারীরা। তারা অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন, যেখানে সেখানে যে যার মতো বাড়ি-ঘর নির্মাণ আর এলাকার বিভিন্ন ব্রিজ ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে এলাকার কৃষি জমি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই গ্রামের ভিতরে পানি ঢুকে দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে তলিয়ে থাকে ঐসব পাড়ার রাস্তাগুলো। এর ফলে কৃষকদের উৎপাদিত ধান, আলু ও অন্যান্য কৃষি পণ্য হাট-বাজারে নিয়ে যেতে নানা সমস্যায় পড়তে হয় কৃষকদের। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান রাসেল বলেন, লিখিত অভিযোগে বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি আমার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকে সরজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।