বিশেষ প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ জিসান আহমেদ ও রোমান এর মধ্যে বিরোধের জের ধরে হামলা ও মামলার ঘটনায় আবারও নতুন করে মারধর ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
দীর্ঘ প্রায় এক বছর বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে উত্তর তাতুঁয়া এলাকায় ইউপি সদস্য প্রার্থী রোমান এর লোকজন জিসান আহমেদ এর ওপর হামলা ও তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম এবং হত্যার চেষ্টা করে। জিসান আহমেদ উপজেলার সুলাতনাবাদ ইউনিয়নের তাতুঁয়া গ্রামের ওছমান মাষ্টারের ছেলে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরবর্তীতে রাতেই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে জিসান চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত জিসান আহমেদ জানান, আমি মেম্বার প্রার্থী হয়েছিলাম। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আমার ছোটভাইকে মারধর করে। মারধরের ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করি। মামলাটি চলমান। বৃহস্পতিবার সেই মামলার নিয়মিত হাজিরা ছিল। ঘটনাটি ৭০হাজার টাকায় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধানের কথা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান উপস্থিত না থাকায় আর সমাধান হয়নি। যে কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তর তাতুঁয়া এলাকার রায়মন মেম্বারের বাড়ীর সামনে ডেকে নিয়ে সোলায়মান, রিয়াদ, রাব্বি ও বায়জিদ হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবী করছি।
আহতের স্বজনরা জানান, হামলাকারীরা জিসান আহমেদ এর একটি স্মার্ট ফোন ও মানিব্যাগ নিয়েগেছে। মানিব্যাগে ১০-১২হাজার টাকাও ছিল। এই ঘটনায় হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।
আহতের চাচাত ভাই নাছির বেপারী বলেন, মেম্বার প্রার্থী নিয়ে এর আগে আমার আরেক চাচাত ভাইকে মারধর করে। এই ঘটনায় মামলা হয়। সে মামলা আদালতে চলমান। এর মধ্যে তাকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে মারধর করে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তার মাথা পেটেগেছে। উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমরা ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবী করছি।
আহত জিসান আহমেদ এর মা শাহিদা বেগম বলেন, সন্ত্রাসী আমার ছোট ছেলেকে মারধর করেছে। এখন আবার আমার বড় ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।